Coronavirus: ঘরে ঘরে মরশুমি জ্বর, এদিকে বাড়ছে কোভিডও! কখন পরীক্ষা করাবেন?

4th Covid Wave: জ্বর, মাথা ব্যথা, কাশি, গলা ব্যথার পাশাপাশি ক্লান্তি থাকলে ফেলে না রেখে কোভিড পরীক্ষা করান। পরামর্শ মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের

Coronavirus: ঘরে ঘরে মরশুমি জ্বর, এদিকে বাড়ছে কোভিডও! কখন পরীক্ষা করাবেন?
বাড়ছে কোভিড, সতর্ক থাকুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2022 | 9:15 AM

বাড়ছে কোভিডের প্রকোপ। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি পেরিয়েছিল ২ হাজারের গণ্ডি। বুধবার ফের রাজ্যে সংক্রমণ পেরিয়ে গেল ২ হাজারের গণ্ডি। একদিনে রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৫২। শুধুমাত্র মহানগরীতে একদিনে আক্রান্ত ৮২৫ জন। পাসাপাশি বাড়ছে মরশুমি সর্দি-কাশিও। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এই রোদ এই বৃষ্টি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে অফিস পৌঁছতে পৌঁছতে সেই জামা গায়েই শুকিয়ে যাচ্ছে। এই ভেজা জামা থেকে ঠান্ডা লাগছে। হচ্ছে সর্দি-কাশির সমস্যা। অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা, জ্বর। বেশিরভাগ অফিসই এখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ফলে ভেজা মাথায় আর ভেজা জামাতে এসির মধ্যে দীর্ঘক্ষণ থাকলে ঠান্ডা লাগবেই। ফলে অফিস থেকে পাড়া, লেগেই রয়েছে জ্বর। এমনকী বাচ্চাদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই একই সমস্যা। অধিকাংশ বাচ্চাই স্কুল থেকে ফিরছে সর্দি, কাশি জ্বর নিয়ে।

মরশুমি এই ফ্লুও খুবই সংক্রামক। সহজেই ছড়িয়ে পড়ে অন্যের মধ্যে। এই ফ্লু এর কোভিডের লক্ষণ একই। ফলে দু-একদিন জ্বর, গা-মাথা ব্যথা, সর্দি-কাশি, খিদেমন্দা থাকলে কেউই প্রথমে কোভিড পরীক্ষা করার কথা ভাবেন না। ধরেই নেন সামান্য ভাইরাল ফিভার। সমস্যা জটিল হলে বা জ্বর না ছাড়লে তখনই পরীক্ষা করাতে যান। এর এউ সময়ের মধ্যে তা অনেকের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম, তারা আগে আক্রান্ত হয়। এই তালিকায় শিশু থেকে বয়স্ক তাঁদের সংখ্যাটাই বেশি। জ্বর কোভিড সংক্রমণের অন্যতম উপসর্গ। কোভিডের ক্ষেত্রে হাই ফিভার থাকে। গত এমিক্রন সংক্রমণের সময়ই দেকা গিয়েছিল এই জ্বর মোটামুতি ৩ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অনেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে কাজ চালান। ভাবেন এতেই সেরে গেল। তবে কোভিড হয়ে থাকলে পরীক্ষা করিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে হবে। নইলে কোনও ভাবেই সেরে ওঠা সম্ভব নয়। কারণ কোভিড পরীক্ষা করালে তবেই সঠিক ওষুধ পড়বে। শরীর সুস্থ হবে।

ঠান্ডা লাগলে তার সঙ্গে গলা ব্যথার সমস্যাও থাকছে। অনেকেই ভাবছেন অতিরিক্ত ঠান্ডা জল খাওয়ার ফলে গলা ব্যথা। তা কিন্তু নাও হতে পারে। গলা ব্যথাও কোভিডের অন্যতম লক্ষণ। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্লান্তি থেকে যায় শরীরে। এই জ্বর, মাথা ব্যথা, কাশি, গলা ব্যথার পাশাপাশি ক্লান্তি থাকলে ফেলে না রেখে কোভিড পরীক্ষা করান। পরামর্শ মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের। তাঁর কথায়, ‘ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি লেগে রয়েছে। ভুগছে বাচ্চারাও। তাই জ্বর, গলা ব্যথা, ডায়েরিয়ার মত উপসর্গ থাকলে আগেই কোভিজ পরীক্ষা করান। নইলে অজান্তেই আপনার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে অন্যদের মধ্যে’। পাশাপাশি ডাঃ বিশ্বাস জোর দেন বুস্টার ডোজেও। সুস্থ থাকতে জরুরি টিকাকরণ। তাই যাঁদের সুযোগ রয়েছে তাঁরা অবশ্যই বুস্টার নিয়ে রাখুন, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা। এখনও পর্যন্ত স্পুটনিকের কোনও বুস্টার ডোজ আসেনি আর এই ব্যাপারে ICMR-থেকে কোনও নির্দেশিকাও আসেনি। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জরুরি টিকাকরণ।