COVID-19: লকডাউনে প্রায় ৭০ শতাংশ ক্যানসার রোগীর সার্জারি বাতিল হয়েছে! গবেষণায় নয়া তথ্য
সম্পূর্ণ লকডাউনের সময়, সাত রোগীর মধ্যে একজনের পরিকল্পনামাফিক অপারেশন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংক্রমণের মাত্রা নিম্নমুখী হতেই সেই সার্জারিই প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউন মানুষের জীবনকে নানান অভিজ্ঞতায় ভরিয়ে দিয়েছে। পরিজনের মৃত্যু, আতঙ্ক, সচেতনতা- সব দিক থেকে সারা বিশ্বকে একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে। নয়া গবেষণায় জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে সাত ক্যানসার রোগীর মধ্যে একজন সম্ভাব্য জীবনদায়ী অপারেশন থেকে বাদ পড়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের একটি গবষেণায় জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচ হাজার সার্জন ও অ্যানসথেটিসিস্ট দেশের ৬টি হাসপাতালের প্রায় ২০ হাজার রোগীর ১৫টি সনচেয়ে সাধরণ ও কছিন ক্যানসারের তথ্য় বিশ্লেষণ করার জন্য একসঙ্গে কাজ করেছেন। সম্প্রতি ল্যানসেট অনকোলজিতে গবেষণার রিপোর্ট পেশে করেছে।
গবেষকরা কলোরেক্টাল, ইসোফেজিয়াল, গ্যাস্ট্রিক, মাথা এবং ঘাড়, বক্ষ, লিভার, অগ্ন্যাশয়, প্রোস্টেট, মূত্রাশয়, রেনাল, স্ত্রীরোগ, স্তন, নরম-টিস্যু সারকোমা, হাড়ের সারকোমা, এবং ইন্ট্রাক্রানিয়াল ম্যালিগানেন্সি-সহ ক্যান্সারের রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনা লকডাউনের ফলে ক্যানসারের সার্জারিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। অনুন্নত দেশগুলির রোগীদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা ছিল না বলা ভাল।
সম্পূর্ণ লকডাউনের সময়, সাত রোগীর মধ্যে একজনের পরিকল্পনামাফিক অপারেশন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংক্রমণের মাত্রা নিম্নমুখী হতেই সেই সার্জারিই প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পিছনে একাই কারণ কোভিড ১৯ সংক্রমণ। বলাই বাহুল্য, লকডাউনের সময় বিধি-নিষেধ মেনেই অপারেশনের হার ছিল মাত্র ০.৬ শতাংশ।
বার্মিংহামের বিশ্ববিদ্য়ালয়ের জেমস গ্লাসবি বলেছেন, গবেষণায় মহামারী চলাকালীন ক্যানসার সার্জারির অপেক্ষায় থাকা রোগীদের উপর লকডাউনের সমান প্রভাব পড়েছে। যদিও জীবন বাঁচাতে এবং ভাইরাসের বিস্তার কমাতে লকডাউনগুলি গুরুত্বপূর্ণ, নিরাপদ ইলেকটিভ ক্যানসার সার্জারির ক্ষমতা নিশ্চিত করা প্রতিটি দেশের পরিকল্পনার অংশ হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেছেন, ভবিষ্যতে লকডাউনের সময় আরও ক্ষতি রোধ করার জন্য, আমাদের অবশ্যই ইলেকটিভ সার্জারির আশেপাশের সিস্টেমগুলিকে আরও স্থিতিস্থাপক করে তুলতে হবে। ইলেকটিভ সার্জারি বেড এবং অপারেটিং থিয়েটার স্পেস রক্ষা করা, এবং হাসপাতালে উচ্চ চাহিদার সময়ের জন্য সঠিকভাবে রিসোর্স করার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: COVID-19: ঘরের ভিতর বাতাসে করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা বুঝবেন কীভাবে, জানাচ্ছেন গবেষকরা