World COPD Day: দূষণের জেরে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস! প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্স করুন এইভাবে…

Detox Lungs: এমনকি যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা নেই, তাদেরও এই ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। দিল্লির বাতাসের মান কিছুটা উন্নতি হলেও আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না।

World COPD Day: দূষণের জেরে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস! প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্স করুন এইভাবে...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2022 | 7:44 PM

শীত শুরু আগেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে বায়ু দূষণের (Air Pollution) ভয়াবহ অবস্থায় পোঁছেছিল। বাতাসের মানের সূচক ৪০০-এর উপরে পোঁছে গিয়েছিল। বর্তমানে কিছুটা কম হলেও বাতাসের মানের সূচকের তেমন হেরফের হয়নি। আর এই মারাত্মক দূষণই জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। বিষাক্ত বায়ু দূষণকারীর সংস্পর্শে এসে ফুসফুসের (Lungs)  গুরুতর সমস্যার সম্ভাবনা প্রবল আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা (Breath Problems) নেই, তাদেরও এই ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। দিল্লির বাতাসের মান কিছুটা উন্নতি হলেও আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না।

২০১৯ সালে দেশে মোট মৃত্যু সংখ্যার মধ্যে ১১.৫ শতাংশ মৃত্য়ুর কারণ ছিল শ্বাসকষ্ট, কার্ডিওভাসকুলার ও ফুসফুসের অন্যান্য সমস্যা। রিপোর্ট অনুসারে, ভয়াবহ দূষণ যেখানে বিরাজ করছে সেখানে অধিকাংশের মধ্যে কাশি, ক্লান্তি ও শ্বাসনালীতে সমস্যার উপসর্গ দেখা যায়। বারবার এমন লক্ষণ দেখা হলে অবিলম্বে এই চিকিত্‍সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কারণ এই ব্যাপারে উপেক্ষা করলে আখেরে ক্ষতির শিকার হবেন নিজেই।

রিপোর্ট অনুসারে, হাঁপানিতে আক্রান্তদের সংখ্য়া তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে ইনহেলার আগের তুলনায় ঘন ঘন ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে হাঁপানি রোগীদের। সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ হল একটি দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের ব্যাধি। ফুসফুস থেকে বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করার ফলে এই রোগ বেশ গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বায়ুতে ভাসমান বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক কণা বা গ্যাসের সংস্পর্শে ফুসফুসের বায়ুথলিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে। এর ফলে রোগীর মারাত্মক শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বায়ু দূষণের কারণে এই গুরুতর ব্যাধি এখন তুলনামূলকভাবে বেড়ে গিয়েছ। সারা বিশ্বে প্রায় ৩ কোটি মানুষের সিওপিডি অসুখ সনাক্ত করা গিয়েছে। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর কারণ হিসেবে এই সিওপিডি হল তৃতীয় কারণ।

সিওপিডি ঠেকাতে হলে প্রথমই সিগারেট-সহ সমস্ত ধূমপান বন্ধ করার প্রচেষ্টা নিতে হবে। শুধু তাই নয়, আপনার শরীরের জন্য কোনগুলি ক্ষতিকারক, তার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। এর ফলে সিওপিডি আক্রান্তের সংখ্যায় রাশ টানা সম্ভব হবে। সিওপিডির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ধূমপান ও বায়ু দূষণ। যদি সিওপিডির লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে চিন্তার কারণ নেই। কারণ ওষুধ খেয়ে নয়, প্রাকৃতিকভাবে ফুসফুসের স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নত করা সম্ভব। ফুসফুস হল এমন একটি অঙ্গ যা দূষণকারীর সংস্পর্শ এড়াতে পারলেই নিজে থেকেই মেরামত করা শুরু করে দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দূষণ থেকে ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে কতকগুলি নিয়ম মেনে চললেই উপকার পাওয়া যায়।

— দূষণের মারাত্মক প্রভাব রয়েছে যেসব জায়গা, সেইসব স্থান এড়িয়ে চলুন।

– রোজকার খাদ্য়তালিকায় সাইট্রাস-যুক্ত ফল খান। এই জাতীয় ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। এর ফলে ফুসফুসকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে।

– সম্ভব হলে ঘরের মধ্যেই ব্যায়াম করলে তা বন্ধ করার চেষ্টা করুন। ইনডোর এক্সারসাইজের প্রধান সমস্যা হল, ঘরের মধ্যেই ব্যায়াম করা। তাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। মুক্ত ও পরিষ্কার পরিবেশে ব্যায়াম করলে ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে দ্রুত সাহায্য করে।

– সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। নিজেকে সর্বদা হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করুন। কারণ জল-ই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিটক্সিকেটিং এজেন্ট যা একেবারে নিখাত প্রাকৃতিক। শুধু ফুসফুসকে ডিটক্স করে তাই নয়, শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গকেই সচল রাখতে জল পান করা জরুরি।

– জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজের অংশ। তাই সম করে বৃক্ষরোপণের কাজটাও শুরু করে দিন। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে এই ছোট্ট কাজ বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বাড়ির ভিতরেও রাখুন ইনডোর প্ল্যান্ট। তবে মাথায় রাখবেন সব প্ল্যান্টই কিন্তু ঘরের মধ্যে রাখা যায় না। যে যে গাছ অক্সিজেনের মাত্রা বেশি ছাড়ে, সেগুলিই ব্য়বহার করুন।