Hearing Loss: হেডফোন যখন সর্বনাশা, বধিরতা বাড়ছে যুবাদের মধ্যে: সমীক্ষা
Headphones: লকডাউন পরবর্তী সময়ে এই হেডফোনের নেশা আগের তুলনায় আরও অনেকখানি বেড়েছে
লকডাউন পরবর্তী সময়ে বেড়েছে একাধিক সমস্যা। সুগার, প্রেসার, কোলেস্টেরলের পাশাপাশি চাপ পড়েছে দৃষ্টিশক্তিতেও। অনেকের আবার কানে শুনতেও সমস্যা হচ্ছে। লকডাউনের সময় থেকেই অনলাইন ক্লাসের চাপ বেড়েছে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। ফলে কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনার প্রবণতাও আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি। যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোমে অভ্যস্ত তাঁদেরও মিটিং এর চক্করে দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখতে হয়। সেই সঙ্গে অনেকেই কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে কাজ করেন। এই সব অভ্যাসই ডেকে আনছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। সম্প্রতি এক সমীক্ষা প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই সমীক্ষায় বলা হয়েছে কানে হেডফোন লাগানোর ফলেই বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১০ লক্ষ যুবার শ্রবণশক্তিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
কোভিড পরবর্তী বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। আর তাই বিশেষজ্ঞদের তরফে সব দেশের সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার। প্রায় ৩৩ টি ভাষায় এই সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। ১২-৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি। ১৯ হাজার যুবাদের উপর করা হয়েছিল এই সমীক্ষা। ২৪ শতাংশ তরুণ তরুণী স্মাার্ট ফোনের সঙ্গে সর্বদা হেডফোন ব্যবহার করে। ৪৮ শতাংশ নাইটক্লাবের লাউড মিউজিকে আসক্ত। আর এই অনিয়ন্ত্রিত শব্দমাত্রা যে শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারক তা তৈরা নিজেরাও বুঝতে পারছে না। আর তাই এই বদঅভ্যাস ছেড়ে সুন্দপর জীবন কাটাতে চাইলে নিজেকেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ২০৫০ সালের মধ্যে সেই সংখ্যা পৌঁছবে ৭০ কোটিতে, এমনই আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
তাই যা কিছু মেনে চলতে হবে
টানা ২০ মিনিটের বেশি কানে হেডফোন গুঁজে রাখা ঠিক নয়।
সাউন্ড সীমার মধ্যে রাখতে হবে
একটানা দীর্ঘক্ষণ হেডফোন নয়
৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ কানে গেলে বিনষ্ট হতে পারে শ্রবণশক্তি। চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, ১০০ ডেসিবেলের উপর ইয়ারফোন ব্যবহার করা উচিত নয় একেবারেই।