Covid-19: কোভিডের জেরে বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিক্স খাওয়ার প্রবণতা! এর ফলে মাথাচাড়া দিচ্ছে নানা যৌনরোগ
কোভিড ১৯ সংক্রমণের কোনও নির্দিষ্ট চিকিত্সা পদ্ধতি আবিষ্কার হ.নি। এই অবস্থায় আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য বিভিন্ন প্রকারের অ্যান্টিবায়োটিক্স ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়েটিকস ব্যবহারের ফলে সম্প্রতি যোনিপথের সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
করোনার জেরে শুধু সংক্রমণই নয়, শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপরও প্রভাব ফেলছে। কোভিড ১৯ (COVID 19) আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক্স (An antibiotics) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। ফলে কোনও উপসর্গ দেখামাত্রই মানুষ এখন বাড়িতেই অ্যান্টিবায়োটিকস ড্রাগস মজুত করে রেখে দিচ্ছেন। এরফলে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে মাথাচাড়া দিয়েছে অন্যরোগ। দেশে কোভিডের দৌরাত্ম্য (COVID19 in India) স্বাভাবিক হতে না হতেই ওমিক্রনের ঝড় ফের বিশ্বকে গ্রাস করেছে। মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, শরীরের নানা অঙ্গে ব্য়থা ও হাই-ফিভার দেখা দিলে সাধারণ লক্ষণ (Common Symptoms) অনুযায়ী বোঝা যায় যে ওই ব্যক্তি কোভিডের নয়া ভেরিয়েন্টে (Omicron) আক্রান্ত। কোভিড থেকে বাঁচতে ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদিক টোটকা খেলেও অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া সুস্থ হওয়া খুব কঠিন। তবে এটা বোধহয় অনেকে জানেন না যে যেখানেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব রয়েছে, সেখানেই নানান সমস্যা তৈরি হয়। আর তার ফলে ভাল হওয়ার থেকে খারাপ করে তোলার আশঙ্কা থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হল ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন(vaginal infections)।
কোভিড ১৯ সংক্রমণের কোনও নির্দিষ্ট চিকিত্সা পদ্ধতি আবিষ্কার হ.নি। এই অবস্থায় আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য বিভিন্ন প্রকারের অ্যান্টিবায়োটিক্স ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়েটিকস ব্যবহারের ফলে সম্প্রতি যোনিপথের সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তবে এই সমস্যা মাথাচাড়া দিতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি কোভিড ১৯ যোনির বায়োমকে ধ্বংস করছে নাকি এটি অ্যান্টিবডি!
কী ভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার যোনিপথে সংক্রামিত করে
গুরুগ্রামের সিকে বিড়লা হাসপাতালের সিনিয়র গাইনোকোলজিস্ট এবং প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণা কালরার মতে,অ্যান্টিবায়োটিকের বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া এবং ডায়রিয়া হতে পারে। এতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ এবং ধরন পরিবর্তন করে। আপনার অন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। অন্ত্রে এই পরিবর্তনগুলি বমি বমি ভাব, বমি এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার দিকে পরিচালিত করে। তারা ইমিউন সিস্টেমকেও দুর্বল করতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, যখন এটি আপনার যোনিতে আসে, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ভাল পাশাপাশি খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। এটি আপনাকে সংক্রমণের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলিকে অন্ত্রে অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেতে দেয় এবং তারা যোনিতে ভ্রমণ করতে পারে, যার ফলে সংক্রমণ হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি যোনি পিএইচ ভারসাম্যকেও প্রভাবিত করে।”
যোনি সংক্রমণের কিছু লক্ষণ
– যৌনাঙ্গের চারপাশে চুলকানি ও জ্বালাভাব – সাদা ও গন্ধহীন যোনিস্রাব – সহবাসের সময় ব্যথা – প্রস্রাবের সঙ্গে ব্যথা -যোনি স্রাব বৃদ্ধি।
অ্যান্টিবায়োটিক এড়ানোর আরও কিছু কারণ
– অ্যান্টিবায়োটিকগুলি অন্ত্রে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে যা আপনাকে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
– ফুসকুড়ি, পেটে ব্যথা, জ্বর, মাথাব্যথা, অনিদ্রা এবং মাথা ঘোরা সহ তাদের প্রচুর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন: Omicron in India: ওমিক্রন থেকে সেরে উঠেছেন? আগের মত ফের লং কোভিডে আক্রান্ত হবেন না তো!
তথ্যসূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস