Ayurvedic Tips: UTI থেকে ব্লাড সুগার, সব সমস্যার সমাধান সস্তার এই আয়ুর্বেদ ভেষজ বীজে!
Sweet Basil: তুলসির পাতায় সর্দি-কাশি সারে। হজমের সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু তুলসির বীজেও যে এত উপকারিতা লুকিয়ে আছে জানতেন?
Sabja Seeds: শরীরে সামান্য কাটা-ছেঁড়া কিংবা কোনও মামুলি সমস্যায় ঘরোয়া উপশমে না হেঁটে বেশিরভাগই মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খান। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক কম সময়ে শরীরকে সারিয়ে তোলে ঠিকই কিন্তু এর একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কিন্তু রয়েছে। অনেকে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে পাড়ার দোকান থেকে পরিচিত কোনও অ্যান্টিবায়োটিক এনে খান। এযে ওষুধের সঠিক মাত্রা যেমন বজায় থাকে না তেমনই কিন্তু শরীরেরও ক্ষতি হয়। সামান্য জ্বর, পেটব্যথা কিংবা অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে অ্যান্টাসিড প্রাথমিক দাওয়াই নয়। বরং আমাদের চারপাশে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরের অনেক বেশি উপকারী। যেমন এই তুলসি। প্রায় সব ভারতীয় বাড়িতেই তুলসি গাছ থাকে।
তুলসি গাছকে শুভ প্রতীক হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। তুলসির পাতায় সর্দি-কাশি সারে। হজমের সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু তুলসির বীজেও যে এত উপকারিতা লুকিয়ে আছে জানতেন? প্রাচীন কালে এই বীজ আর্য়ুবেদ শাস্ত্রে ব্যবহার করা হত। আয়ুর্বেদ মতে তুলসি গাছের মধ্যে রয়েছে ওলেয়ানলিক আ্যসিড ও আরসলিক আ্যসিড। যা আমাদের প্রদাহজনিত সমস্যার হাত থেকে বাঁচায়। আর তাই এই গরমে বাড়ির তুলসি গাছে যেমন নিয়মিত জল দেবেন তেমনই শরীর সুস্থ রাখতে কাজে লাগান লাল তুলসির বীজকে। এই বীজ দেখতে কালো রঙের হয় এবং তা Sweet Basil নামে পরিচিত। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক Dr Dixa Bhavsar তাঁর ইন্সটাগ্রাম পোস্টে তুলে ধরেছেন এই তুলসি বীজের উপকারিতার কথা।
তুলসি বীজের উপকারিতা
তুলসির বীজ সবজা বীজ হিসেবেও পরিচিত। তুলসির বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। সেই সঙ্গে থাকে প্রয়োজনীয় কিছু ফ্যাট এবং কার্বস। থাকে ইউজেনল, মিথাইল ইউজেনল এবং ক্যারিয়োফাইলিন। যা রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মূত্রনালীর সংক্রমণ, কিডনির সমস্যা এবং ওজন কমাতেও ভূমিকা রয়েছে এই তুলসি বীজের। এছাড়াও অ্যাসিডিটির সমস্যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রুখতে উপকারিতা রয়েছে এই বীজের। ত্বক এবং চুল ভাল রাখতে যেমন েই বীজ সাহায্য করে তেমনই ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য বদায় রাখতেও উপকারী এই সুইট বাসিল বা সবজা বীজ।
View this post on Instagram
কী ভাবে খাবেন এই বীজ
এক থেকে দু- চামচ সবজা বীজ সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা খালি পেটে খেয়ে নিন।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে একগ্লাস ঠান্ডা দুধের সঙ্গে সবজা সিড মিশিয়ে খান। এতে উপকার পাবেন। এছাড়াও ঠান্ডা দুধে শুকনো গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে খান। এতেও ভাল উপকার পাবেন।
তবে বাচ্চাদের বা গর্ভবতী মায়েদের কিন্তু এই সবজা বীজ দেবেন না। এতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।