Diaper Rash: ডায়াপার র্যাশে ছোট্ট শিশু কষ্ট পাচ্ছে! এই ৪ ঘরোয়া উপায়েই কমবে সংক্রমণ ও জ্বালাভাব
দীর্ঘ সময় ধরে নোংরা ডায়াপারের সংস্পর্শে থাকলে ত্বকে সাধারণত কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস হয়। দ্বিতীয় কারণ হল ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক দ্বারা সংক্রামিত হয়ে ডায়পার র্যাশ বের হতে পারে।
নবজাতক থেকে শুরু করে ছোট্ট শিশুদের অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা হল ডায়পার র্যাশ। যে জায়গায় ডায়াপার পরানো হয়, সেইসব জায়গায় ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো র্যাশ বের হয়। তাতে জ্বালাভাবও তৈরি হয়। যদিও শিশুদের মধ্যে ডায়াপার ফুসকুড়ি সাধারণ, তবে বৃদ্ধ যারা ডায়াপার পরেন তাদেরও ডায়াপার ফুসকুড়ি হতে পারে। একে ডায়াপার ডার্মাটাইটিসও বলা হয়।
ডায়াপার ফুসকুড়ির সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস। হালকা লাল হওয়া থেকে ত্বক থেকে চামড়া শুষ্ক হয়ে উঠে যাওয়া পর্যন্ত হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে নোংরা ডায়াপারের সংস্পর্শে থাকলে ত্বকে সাধারণত কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস হয়। দ্বিতীয় কারণ হল ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ। ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক দ্বারা সংক্রামিত হয়ে ডায়পার র্যাশ বের হতে পারে। তৃতীয় কারণ হল অ্যালার্জি। কিছু সাধারণ অ্যালার্জেন হল পারফিউম যা শিশুদের জন্য ব্যবহৃত কিছু ক্রিমে উপস্থিত থাকে। এমনকি ডায়াপার ধোয়ার জন্য ব্যবহৃত সাবান থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে।
শিশুদের ত্বক এমনিতেই সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর হয়। নরম তুলতুলে ত্বকে ফুসকুড়ির জ্বালাভাব থেকে রেহাই পেতে ঘরোয়া উপায়েই তা ঠেকানো যায়। কীভাবে কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করবেন, তা এখানে দেওয়া রইল, দেখে নিন একনজরে…
নারকেল তেল
নারকেল তেল ডায়াপার র্যাশের জন্য সেরা ঘরোয়া প্রতিকার। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি -ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। আপনার ছোট্ট সন্তানের এমন উপসর্গ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। শুধু তাই নয়, সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। কীভাবে ব্যবহার করবেন? স্নানের পর ত্বক ভাল করে শুকিয়ে নিন। এবার ত্বকে যেখানে যেখানে র্যাশ বের হয়েছে, সেখানে সেখানে নারকেল তেলের পাতলা স্তর প্রয়োগ করুন। সেরা ফল পেতে শুধুমাত্র ভার্জিন নারকেল তেল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
ব্রেস্ট মিল্ক
ছোট্ট শিশুদের কাছে স্তনদুগ্ধই সেরা উপকরণ। সন্তান যদি স্তনদুগ্গ পান করে তাহলে এর থেকে দুর্দান্ত আর কিছু হতে পারে না। স্তনদুগ্ধ ডায়াপার র্যাশের চিকিত্সার মোক্ষম ওষুধ। এতে দ্রুত সংক্রমণ বন্ধ করতে সাহায্য করে ও শিশু আরাম পায়। স্নানের পর বা যে সব জায়গায় র্যাশ বের হয়েছে, সেই সব জায়গা পরিস্কার করে শুকিয়ে নিন। তারপর তুলো ব্যবহার করে আক্রান্ত জায়গায় স্তনদুগ্ধ ব্য়বহার করুন। সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
ওটস দিয়ে স্নান
আরও একটি বিষ্ময়কর উপকরণ হল ওটস। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য। ফলে জ্বালভাব কমাতে দারুণ কার্যকরী। ওটস দিয়ে স্নানের জন্য প্রথমে একটি পাতলা মসলিন কাপড়ে এক মুঠো ওটস নিয়ে তা একটি বান্ডিল বানান। এবার যে পাত্রে স্নান করবে সেখানে এই কাপড়ের বান্ডিলটি দিয়ে গরম জল দিয়ে পূর্ণ করতে থাকুন। জল দুধের মত সাদা হয়ে গেলে তাতে ঠান্ডা জল মিশিয়ে শিশুর জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রায় আনুন। এবার শিশুকে ১০ মিনিটে তাতে স্নানের জন্য বসিয়ে দিন।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে চমৎকার নিরাময় এবং প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য। ডায়াপার র্যাশের জন্য সেরা উপাদানগুলির মধ্য়ে এটি একটি অন্যতম। শিশুদের ত্বকের জন্য সবসময় ঘরোয়া ও ভেষজ নির্যাস ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল। দোকানে কেনা জেল ব্যবহার করতে চাইলে কোনো রঙ বা পারফিউম ছাড়াই ব্যবহার করুন। ব্যবহার করার জন্য, সারা দিনে দুবার তাজা জেলটি আক্রান্ত স্থানে লাগান।
আরও পড়ুন: COVID-19: করোনা থেকে সেরে ওঠার সময় স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডায়েটে অবশ্য়ই রাখুন এই ৫ ধরণের খাবার!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।