নায়িকাদের মতো ফিটনেস আর গ্ল্যামার পেতে চান? টিপস দিলেন সেলিব্রিটি ডায়াটিশিয়ান রেশমি রায়চৌধুরী

পরিচালক-অভিনেত্রী অপর্ণা সেনের মতো ফিটনেস, অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী, মিমি চক্রবর্তী, শ্রীলেখা মিত্র, পায়েল সরকার, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো চেহারা ও গ্ল্যামার পেতে চান সকলেই। এই তারকাদের প্রত্যেকেরই কোনও না কোনও সময় ডায়েট গুছিয়ে দিয়েছেন রেশমি। কোনও-কোনও তারকার ব্যক্তিত্বেও এনেছেন চমক। TV9 বাংলাকে কী টিপস দিলেন রেশমি?

নায়িকাদের মতো ফিটনেস আর গ্ল্যামার পেতে চান? টিপস দিলেন সেলিব্রিটি ডায়াটিশিয়ান রেশমি রায়চৌধুরী
রেশমি রায় চৌধুরি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 02, 2021 | 5:40 PM

বাড়িতে উপস্থিত উপকরণেই কমবে ওজন

ওজন বাড়ছে। কপালে পড়ছে ভাঁজ। জামার সাইজ় হয়েছে এক্সট্রা লার্জ। ফাস্ট ফুডের রকমফেরে বাড়ছে বাইরে খাওয়ার ঝোঁক। জিভের কী দোষ? তাই ফাঁক পেলে কখনও এগরোলে কামড়, তো কখনও কোল্ডড্রিঙ্কে চুমুক। খাওয়া-দাওয়ার সময়ের ঠিক নেই। ওয়ার্ক প্রেশার, পার্টি কিংবা বিঞ্জ ওয়াচের কারণে ঘুম নেই চোখে। অনিয়মিত জীবনযাত্রা এবং সেই জীবনযাত্রা থেকে নানাবিধ শারীরিক সমস্য়া। লাইফস্টাইল ডিজ়িজ়। ডায়াবেটিজ়, থাইরয়েড, কোলেস্টোরল, পলিসিস্টিক ওভারি, অ্যাসিডিটি… নিস্তার পেতে ওজন কমানো মাস্ট। ধীরে-ধীরে আবার সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠতে পারেন আপনি। নিয়ম মতো খাওয়া-দাওয়া কপালের ভাঁজকে করতে পারে ভ্যানিশ। সেইসঙ্গে ঘড়ি ধরে খাওয়া, শরীরচর্চা আর ঘুম। তেমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন ডায়াটিশিয়ান রেশমি রায় চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে কথা বলল TV9 বাংলা।

কী করলে কমবে ওজন?

তিনটে জিনিসের প্রতি নজর রাখা বাঞ্ছনীয়। এক) খাবারের পরিমাণ ও খাবার খাওয়ার সময়, দুই) প্রত্যেকদিন সামান্য ফিজ়িক্যাল এক্সারসাইজ আর তিন) পরিমাণ মতো ঘুম। এই তিনটে জিনিস আমাদের এনার্জি লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।

কী ভাবে ফলো করতে হবে?

পরিমাণে খাবারে কথা বললাম তার কারণ, যাই-ই খান না কেন, খেতে হবে সময় বুঝে। সময় বিষয়টা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে সময় ব্রেকফাস্ট করবেন অথবা লাঞ্চ বা ডিনার, সেই একই সময় বজায় রাখতে হবে প্রতিদিনের জন্য়। খাবারে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে। পরিমাণ বজায় রেখে খেতে হবে জল। সঠিক মাত্রায় জল না খেলে উপযুক্ত রেজাল্ট পাওয়া যায় না।

কী খাব?

দিনে কোন সময় খাবার খাচ্ছেন, সেই নির্দিষ্ট সময়টা বজায় রাখা খুব দরকার। রোজ যে সময় খাবার খাচ্ছেন, নিয়মিতভাবে সেই সময়টা বজায় রাখতে হবে। সকালে ব্রেকফাস্টে যে কোনও সিরিয়াল, সঙ্গে থাকবে যে কোনও প্রোটিন। দুপুরে ও রাতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি খেতে হবে। পরিমাণ মতো খেতে হবে প্রোটিন। একবারে অনেক খাবার না খেয়ে বারবার অল্প পরিমাণে খাওয়াই উচিত ভাল হজমের জন্য। এটা ফলো করলে যে কেউ উপকার পেতে পারেন।

আপনি এক্সারসাইজ়ের দিকেও নজর রাখতে বলছেন…

দেখুন মেশিনকে চালানোর জন্য যেমন তেল দিতে হয়, সেরকমই শরীরকে চালানোর জন্য ফিজ়িক্যাল এক্সারসাইজ খুব দরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘুম ছাড়া বাকি সময় বসে কাটিয়ে দিলে, বেসিক মেটাবলিক রেট (হজমশক্তি) খুব কমে যায়। পুরোদস্তুর এক্সারসাইজ় না-করেও যদি কেউ শরীরকে কাজের মধ্যে অ্যাক্টিভ রাখেন, উপকার পেতে পারেন।

কতটা ঘুমোলে ওজন কমতে পারে?

খাওয়াদাওয়া, এক্সারসাইজ়ের সঙ্গে খুব দরকারি বিষয় ঘুম। কম ঘুমলেও ওজন বাড়ে। আবার বেশি ঘুমলেও বাড়ে। অনেককেই দেখি ঠিক মতো ঘুমোতে পারেন না। প্রত্যেকেরই দিনে ন্যূনতম ৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। আর ওজন কমাতে চাইলে ৮ ঘণ্টার ঘুম ইতিবাচক ফল দিতে পারে।