COVID-19 infection: ভিলেন কোভিড, শুক্রাণু কমছে পুরুষের ! দাবি নয়া সমীক্ষায়
Coronavirus: যে সব পুরুষরা কোভিড সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তাঁদের শরীরে কমেছে শুক্রাণুর সংখ্যা, এমনকী কমেছে শুক্রাণুর গতিও। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। তবে এর থেকেই যে হতে পারে বন্ধ্যাতের সমস্যা- এমন কিন্তু কিছুই বলেননি বিশেষজ্ঞরা
ছোট্ট একটা ভাইরাস, যা এক লহমায় বদলে দিয়েছে আমাদের জীবন। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকেই লড়াই করে জিতে এসেছেন। তেমনই বহু প্রিয়জনকে কেড়ে নিয়েছে এই করোনা। এছাড়াও করোনার প্রভাব পড়েছে রোজগারেও। প্রচুর মানুষ যেমন চাকরি হারিয়েছেন, তেমনই অনেকের রোজগার কমেছে। তবে করোনা সার্বিক ভাবে প্রভাব ফেলে মানব দেহে। করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফুসফুস। নিঃশ্বাসে সমস্যা,একটু পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শরীর, ডায়াবিটিসের সমস্যা, চুল পড়া, হজমে সমস্যা-এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও অনেকের কিন্তু সাময়িক স্মৃতিভ্রমও হচ্ছে। তবে সম্প্রতি সমীক্ষায় উঠে এসেছে নতুন একটি তথ্য। আর তাতেই বলা হয়েছে পুরুষদের শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যা ( Sperm count) কমে যায়, সেই সঙ্গে কমিয়ে দিচ্ছে মৃত্যুহারও।
জার্নাল ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি (journal Fertility and Sterility)- তে প্রকাশিত এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কোভিড থেকে সেরে ওঠার ২ মাস পর থেকেই অনেকের শরীরে কমে গিয়েছে শুক্রাণুর সংখ্যা। বেলজিয়ামে ১২০ জনের উপর এই সমস্যা চালানো হয়। যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল খুব তীব্র। এমনকী যাঁদের RT-PCR পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল পরবর্তীতে তাঁদের শরীরেও কিন্তু দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। ১৮-৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যেই বেশি ছিল এই সমস্যা। এঁদের শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল, শ্বাসকষ্টের সমস্যা সত্ত্বেও রিপোর্ট কিন্তু নেগেটিভ ছিল। তবে এই ১৮ থেকে ৬৯ কিন্তু সকলেই সুস্থ হয়েছেন। সমীক্ষা বলছে এসব মানুষদের পুনরায় কোভিডে সংক্রমণের আশঙ্কা কম। এর মধ্যে মাত্র ১৬ জনই পুনরায় কোভিডে ভোগার আশঙ্কায় ছিলেন।
কোভিড প্রভাব ফেলেছে যৌন জীবনেও, সম্প্রতি এমনটাই বলা হয়েছে দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে। এমন তথ্য আগেও পাওয়া গিয়েছে সমীক্ষায়। তবে এমন অনেক পুরুষ আছেন যাঁদের কোভিড সংক্রমণ তেমন তীব্র হয়নি তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু শুক্রাণুর সমখ্যা কম এমন সমস্যা হয়েছে। যাঁদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল তাঁদের অনেকেরই রক্ত এবং বীর্যের পরীক্ষা করা হয়েছিল। ৫৩ দিন অন্তর এই পরীক্ষা চালানো হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের কাছে কিছু প্রশ্নও রাখা হয়। যৌন ক্ষমতা এবং যৌন ইচ্ছা যে কমে গিয়েছে সে কথা কিন্তু অনেকেই জানিয়েছিলেন। শুক্রানুর সংখ্যা যেমন কমেছে তেমনই কমেছে গতিও।
এছাড়াও আরও বেশ কিছু সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানেও দেখা গিয়েছে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর ৬০ শতাংশ পুরুষই ভুগেছেন এই সমস্যায়। ৩৭ শতাংশ মানুষের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর শুক্রানুর গতিশীলতা কম ছিল, আবার ২৮ শতাংশের ক্ষেত্রে শুক্রানুর সংখ্যা একেবারেই কমে গিয়েছিল। এবং শরীরে নানা ভাবে তার প্রভাবও পড়েছিল।
এমনকী কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে বেশ কিছু আক্রান্তের বীর্যেও ধরা পড়েছিল কোভিড ভাইরাসের উপস্থিতি। সেই সঙ্গে কমছিল শুক্রাণুর সংখ্যাও। তবে শুক্রাণুর সংখ্যা কম মানেই বন্ধ্যাত্ব নয়। তবে এই সমস্যা কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের জন্যই। কিন্তু পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আরও বিষদে গবেষণার প্রয়োজন।