Diwali 2022: শব্দবাজির দাপটে কষ্ট পায় ওরাও! কীভাবে সুস্থ রাখবেন আদরের পোষ্যকে?

Firecracker: সাধারণ মানুষের কাছে আতশবাজি জ্বালানো এবং বোম ফাটানো হর্ষদায়ক হলেও আদরের পোষ্যদের কাছে তা আতঙ্কের। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। কীভাবে শান্ত আর সুস্থ রাখবেন পৌষ্যদের। রইল টিপস

Diwali 2022: শব্দবাজির দাপটে কষ্ট পায় ওরাও! কীভাবে সুস্থ রাখবেন আদরের পোষ্যকে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2022 | 9:52 AM

দোরগোড়ায় দীপাবলি (Diwali 2022)। এই আনন্দঘন উৎসবে আতশবাজি জ্বালানো (Firecrackers)এবং বোম ফাটানোর মেজাজে থাকেন সবাই। অথচ জানলে অবাক হবেন, আতশবাজির শব্দ ও ভয়ঙ্কর ধোঁয়ায় (Air Pollution) সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রকৃতির কোলে বসবাসকারী অন্যান্য প্রাণীরা। বিশেষ করে কুকুর, বিড়ালের মতো প্রাণীদের কাছে আতশবাজি ও বোম ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার কারণ। ধোঁয়া এবং উচ্চ মাত্রার শব্দ ওদের স্বাস্থ্যে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকী ওদের মেজাজও খারাপ হয়ে যায়। কষ্ট হয় বলে অস্বাভাবিক রকমের আচরণ করতে থাকে ওরা। পোষ্যের মালিকদের উচিত এই সময়ে ওদের শান্ত রাখা ও কষ্টদায়ক অনুভূতি কম করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া। সমস্যা হল, আলোর উৎসব দীপাবলিতে আমরা এতখানিই মেতে থাকি যে পোষ্যদের বিষয়ে কখনও কখনও খেয়ালও রাখি না। ওদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময়ও হয় না। এর ফলে আমাদের আদরের পোষ্যরা ভোগে একাকিত্বে। তাই এইসময় ওদের কথা খেয়াল রাখতেই হবে ও ওদের স্বাস্থ্যের প্রতিও হতে হবে বাড়তি যত্নশীল।

পশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘পরিবারের সবার সঙ্গে মিলেমিশে উৎসব পালনের সময় হল দীপাবলি। এই সময়ে আমরা একে অপরকে উপহার দিই। বড়দের সম্মান জানাই। পূজা করি। এছাড়া চলে বিভিন্ন ধরনের উপাদেয় খাবার খাওয়া। তার মধ্যে আমরা খানিকটা হলেও পোষ্যদের প্রতি সেভাবে মনোযোগী হয়ে উঠতে পারি না। তাই চলতি বছরের দীপাবলি পালনে বরং পোষ্যদেরও শামিল করুন। তাদের জন্যও দীপবলি করে তুলুন আনন্দঘন।’

বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, ‘বেশিরভাগ পোষ্যের কাছেই কিন্তু ফায়ারক্র্যাকার আসলে ভয়ঙ্কর আতঙ্কের উৎস। তারা এমনিতেই জোরালো আওয়াজে ভয় পায়। এছাড়া বাতাসে দূষণ সৃষ্টিকারী পোড়া গন্ধও সহ্য করতে পারে না। সবচাইতে সমস্যা হল, দীপাবলি চলে গেলেও বারুদের পোড়া গন্ধ দীর্ঘসময় বাতাসে স্থায়ী হয় যা ওদের পক্ষে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। তাই চেষ্টা করুন ওদের জন্য একটা নিরাপদ এবং শব্দ সহ দূষণহীন জায়গা খুঁজে নিতে। এর ফলে ওরা শান্তিতে থাকতে পারবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এই উৎসব আসলে সকলে মিলে আনন্দ উপভোগ করার। কাউকে কষ্ট দিলে উৎসবের উদ্দেশ্যই মাটি হয়ে যাবে।’

দীপাবলিতে পোষ্যকে সুস্থ ও শান্ত রাখার জন্য কতকগুলি টিপস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চেষ্টা করুন নিয়মগুলি পালন করতে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, উৎসবের পোশাক পরাবেন না: প্রতিবার ল্যাট্রিন ও ইউরিন পাসের পর ওদের পরিষ্কার পরিচ্ছন করতে ভুলবেন না। থাবা ও লোম যাতে জীবাণুমুক্ত থাকে তার দিকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ওদের পায়ে ও লোমে বারুদ আটকে যেতে পারে। এই ধরনের বারুদ ওদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। বিশেষ করে বারুদ খেয়ে ফেললে হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। তাই ঘরের মেঝে পরিষ্কার রাখুন। এছাড়া ওদের আলাদা করে উৎসবের পোশাক পরাতে জোর করবেন না। আপনাদের ভালো লাগতে পারে ওদের নতুন পোশাকে দেখে, তবে নতুন পোশাক ওদের কাছে কষ্টদায়ক হতে পারে।

দূরে কোথাও চলে যান: দীপাবলির ছুটিকে কাজে লাগান। একটু শব্দহীন জায়গায় ঘুরে আসুন। শহর ছেড়ে সেক্ষেত্রে একটু গ্রামের নির্জনে ঘুরে আসতেই পারেন। ওদেরও ভালো লাগবে আর আপনারও।

উৎসবের জন্য আলাদা খাবার: পোষ্যদের জন্য আলাদা করে ওটস এবং পিনাট বাটারের (জাইলিটল মুক্ত) তৈরি লাড্ডু করতে পারেন। ওদের কাছে লাড্ডু খাওয়া বেশ আনন্দের হতে পারে। এছাড়া হেম্প সীড অয়েল দিয়ে বানানো ও বাড়তি প্রিবায়োটিকযুক্ত চিকেনের তৈরি খাদ্যও ওদের দিতে পারেন। ওরা আনন্দে থাকবে।

উপহার দিন ইয়ারমাফ: শব্দের দূষণ থেকে রক্ষা করতে বরং ওদের এবারে দীপাবলিতে উপহার দিন ইয়ারমাফ। আমাদের কানের তুলনায় ওদের কান অনেক বেশি সংবেদনশীল। ফলে সামান্য শব্দও ওরা অনেক বেশি জোরে শোনে। তাই পোষ্যকে একজোড়া ইয়ারমাফ দিলে ওদের উপকার হবে।

এছাড়া ওদের বাইরে বের করবেন না। ঘরের অন্দরে পরিচিত রুমে রাখুন। গৃহের প্রধান দরজা বন্ধ করে রাখবেন। যাত. ওরা ভয় পেয়ে বেরিয়ে না যায়। গৃহে কোনও অতিথি এলে তার সঙ্গে পোষ্যকে ভালো করে ভাব করিয়ে রাখবেন।

শান্ত মিউজিক চালিয়ে দিন: বাইরের বোম ফাটানোর আওয়াজ থেকে ওদের নিষ্কৃতি দিতে ঘরের মধ্যে হালকা মিউজিক চালিয়ে রাখতে পারনে। ওরা একটু স্বস্তি পাবে। অনলাইনে এমন বহু মিউজিক পাওয়া যায় যা পোষ্যদের শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

ম্যাসাজ: শব্দে ও ধোঁয়ায় ওরা খুব বেশি অশান্ত হয়ে পড়লে ধীর ধীরে ম্যাসাজ করুন।

প্রদীপ থেকে দূরে: দীপাবলিতে আমরা প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালাই। পোষ্যকে প্রদীপ ও মোমবাতির কাছাকাছি আসতে দেবেন না। দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।