AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ADHD: বায়ুদূষণের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শৈশব, আসছে স্নায়ুর সমস্যাও! দাবি নয়া সমীক্ষায়…

AIR POLLUTION: দূষণের প্রভাব সর্বত্রই। কিন্তু বায়ু দূষণ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শিশুদের বিকাশের পথে। ব্যাহত হচ্ছে বৃদ্ধি, দেখা দিচ্ছে একাধিক স্নায়ুর সমস্যাও...

ADHD: বায়ুদূষণের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শৈশব, আসছে স্নায়ুর সমস্যাও! দাবি নয়া সমীক্ষায়...
দূষণের প্রভাব পড়ছে শিশুস্বাস্থ্যেও
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2022 | 11:41 PM
Share

দূষণের প্রভাব বাড়ছে সর্বত্রই। এতে শুধু যে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়, ক্ষতি হচ্ছে জনজীবনেরও। সম্প্রতি বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ অনুসারে, বায়ুদূষণ সরাসরি প্রভাব ফেলছে শিশুদের দেহে। আর যেখান থেকে তাদের বিভিন্ন স্নায়ুর সমস্যা আসছে। যার মধ্যে প্রধান ADHD (hyperactive impulsive)। যে সব অঞ্চলে সবুজ একেবারেই নেই সেখানে এই দৃষণের মাত্রা আরও ৬২ গুণ পর্যন্ত বেশি হতে পারে। আবার যেখানে তুলনায় গাছপালা বেশি, এখনও বিস্তৃত অঞ্চল সবুজ রয়েছে সেখানে এই রোগের সম্ভাবনা কিন্তু প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম। ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’- জার্নালে প্রকাশিত সেই গবেষণায় বলা হয়েছে- বায়ু দূষণ এবং পারিপার্শ্বিক দূষণ ৫-১০ শতাংশ শিশুদের মধ্যে স্নায়ুর সমস্যা আনছে। তাতে শিশুদের বৃদ্ধি যেমন ব্যহত হচ্ছে তেমনই কিন্তু ভুলে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া এসব সমস্যাও আসছে। বর্তমান কিশোর কিশোরীদের মধ্যে কিন্তু এই ADHD- এর উপসর্গ সবথেকে বেশি।

এই গবেষণায় ২০০০-২০০১ সালের মধ্যে জন্ম এরকম কিশোরদের তথ্যই পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়েছে। খোঁজ নেওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের কাছেও। আর সেখান থেকে প্রাত্ত তথ্য অনুসারে যে সব জায়গায় বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি এবং PM ২.৫–এর কাছাকাছি সেই সব অঞ্চলে কিন্তু দূষণ সবচাইতে বেশি। আর এই সব অঞ্চলে যত সংখ্যক শিশু রয়েছে তারা সকলেই কোনও না কোনও ভাবে ADHD-এর শিকার। হাইপারঅ্যাকটিভ ইমপালসিভ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত প্রায় ১,২১৭ টি কেস পাওয়া গিয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার ৪.২ শতাংশ। বরং যেখানে গাছপালা নেশি সেখানকার শিশুরা তুলনায় সুস্থ। সেখানেও মিলেছে ADHD-তে আক্রান্তের খোঁজ। তবে শহর বা জনবহুল এলাকার চাইতে সেই সংখ্যাটা ১২ শতাংশ কম।

যে সব অঞ্চলের বাতাস বেশি বিষাক্ত সেই সব অঞ্চলের শিশুদের মানসিক বিকাশও কিন্তু কম। এছাড়াও ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে অসামঞ্জস্যতা। অল্পেই রেগে যাওয়া, বিরক্ত হওয়া, পড়াতে মন দিতে না পারা এসব সমস্যা সহ কিন্তু একাধিক শারীরিক অসুবিধে রয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে চোখের সমস্যাও। আর তাই এব্যাপারে প্রথম থেকে সকলকেই উদ্যোগী হতে হবে। দূষণ ঠেকাতে বৃক্ষরোপন ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। চেষ্টা করুন শিশুকে দূষণ মুক্ত পরিবেশের মধ্যে মা রাখতে। কারণ শিশুকালেই বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ হয়। ওই সময়ে স্নায়ুর এমন সমস্যা দেখা দিলে তা শরীরের পক্ষে মোটেই সুখকর হবে না।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Heart Disease: সাংসারিক কাজ কমাতে পারে বয়স্ক মহিলাদের হৃদরোগের ঝুঁকি! বলছে সমীক্ষা