আজকাল হজমশক্তি সকলেরই কমেছে। 'বাঙালি লোহাও হজম করে নিতে পারে' এই অপবাদ এখন আর দেওয়া যায় না। বিয়েবাড়িতে একসঙ্গে বসে ৫০ টা রসগোল্লা খাওয়ার মানুষও এখন আর নেই। সামান্য খাবারেই এখন গ্যাস-অম্বল হয়ে যায়। এর মূল কারণ কিন্তু আমাদের খাদ্যাভ্যাস।
রোজকার জীবনযাপনে চাপ এখন আগের থেকে অনেক বেশি। মানুষের শরীরচর্চা করার কোনও সুযোগ নেই। এক জায়গায় বসে কাজ, খাওয়া, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়া এসবের জন্যই সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। রোজ রোজ অ্যান্টিসিড খাওয়াও ঠিক নয়। এতে শরীরের উপর চাপ পড়ে। গ্যাস-অম্বলও রোজ হলে সেখান থেকে শরীরের অন্ত্রে একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন জোয়ান একসঙ্গে একাধিক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। আজ থেকে নয়, সেই প্রাচীন কাল থেকেই হজমের সমস্যায় জোয়ান ব্যবহার করা হয়। জোয়ানের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন থেকে শুরু করে একাধিক উপাদান। আর এই সব উপকরণ থাকার কারণেই জোয়ান আমাদের শরীরের জন্য এত উপকারী।
যাঁরা নিয়মিত ভাবে গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভোগেন আয়ুর্বেদ তাঁদের জোয়ান খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। রোজ সকালে খালি পেটে ২ চামচ জোয়ান জলে দিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে একাধিক উপকারিতা পাবেন। পেটের সমস্যা দূর হবে, কোষ্ঠকাঠিন্যও থাকবে না। সেই সঙ্গে গলবে পেটের চর্বিও।
এছাড়াও রাতে খাওয়ার পর হাতে সামান্য জোয়ান নিয়ে চিবিয়ে খান। এরপর একগ্লাস ইষদুষ্ণ জল কান। এভাবে খেতে পারলেও কিন্তু অনেক উপকার। ঘুম ভাল হবে। সঙ্গে হজমও ঠিকমতো হবে।
ব্যথা নিরাময়েও সাহায্য করে জোয়ান। জোয়ানের মধ্যেকার থাকা বিভিন্ন গুণই এর জন্য দায়ী। এছাড়াও শরীরে হরমোনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে জোয়ান। যাঁরা নিয়মিত ভাবে পিরিয়ডসের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদেরও কাজ হয় জোয়ানে। দুপুরে ভাত খাওয়ার পর নুন-লেবু দিয়ে দারানো জোয়ান খেতে পারেন। এতেও হজম ভাল হয়।