ব্রেকফাস্টে নিয়ম করে ওটস, মুজলি খেয়েও নিয়ন্ত্রণে থাকছে না ওজন। বাড়ছে ভুঁড়ি। হাজারো শরীরচর্চার পরও কিছুতেই পেটের মেদ কমছে না। এই সমস্যায় এখন অধিকাংশ ভুক্তভোগী। মেদ জমতে যখন শুরু করে তখন সবচাইতে বেশি মেদ জমে পেটে। আর পেটের মেদ ঝরিয়ে ফেলাও কিন্তু বেশ কঠিন।
যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভুল আমাদেরই। অফিসে যাওয়ার সময় অধিকাংশই যে সব খাবার খান সেখান থেকেই হয় বিপত্তি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ওজন কমানো সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে খাবারের।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই সমীক্ষায় বলা হয়েছে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই কার্বোহাইড্রেট খেলে ডোপামিন, ইনসুলিন, কর্টিসলের মতো হরমোনকে তা প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে মেজাজ বিগড়ে যায়। সারাদিন ক্লান্তি লেগেই থাকে। সকালে উঠেই যদি মাথা গরম হয়ে থাকে তাহলে কোনও কাজেই মন বসে না।
তাই ব্রেকফাস্টে রাখুন প্রোটিন জাতীয় খাবার। রোজকার অভ্যাসে আনুন বদল। রুটি, বিস্কুট, ভাতের পরিবর্তে বেছে নিন প্রোটিন। মাল্টিগ্রেন এবং বীজ, বাদাম আর দই মিশিয়ে ওটস খেতে পারেন। সঙ্গে একটা ডিম সেদ্ধ। এছাড়াও বেসন, সুজি বা ওটস দিয়ে একদম পাতলা করে চিল্লাও বানিয়ে নিতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন কার্বোহাইড্রেট আমাদের ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয়। যে কারণে পেটের চর্বি বাড়ে। এছাড়াও সকালে ঘুম থেকে উঠে কার্বোহাইড্রেট খেলে লেপটিনের সংবেদনশীলতাও কমে যায়। ফলে সারাদিন ধরে খিদে পেতেই থাকে।
খিদে পেলে তখন আর স্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়ার কথা মাথায় থাকে না। উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়া হয়ে যায়। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেড়ে যায়। তখন রক্তে সুগারের পরিমাণও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। অন্ত্রে তখন ডিসবায়োসিস হতে পারে। এখান থেকেই পেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ৪০০ মিলিলিটার জল খান। এর ১৫ মিনিট পর খান একগ্লাস মেথি ভেজানো জল। এর ৩০ মিনিট পর খান ৪ টে আমন্ড, আখরোট। ব্রেকফাস্টে একবাটি পেঁপে রাখুন। প্রোটিন আর ফাইবার বেশি করে খান।