দোলের পার্টিতে জমিয়ে জাঙ্ক ফুড খেয়েছেন, শরীরে সুস্থ রাখতে তারপর অতি অবশ্যই খান এইসব খাবার
ভাজাভুজি থেকে মিষ্টি, শরবত-ঠান্ডাই-ভাঙ, বাদ যায়নি কিছুই। সঙ্গে আবার ফুচকা-চাট এসবও পড়েছে পেটে। বদহজম আর অ্যাসিডিটির সমস্যা এড়াতে সহজ কয়েকটা নিয়ম মেনে চলুন।
উৎসব মানিয়ে জমজমাট আয়োজন। ভরপুর আনন্দের সঙ্গে জমিয়ে পেটপুজো হওয়া চাই। দোলের দিন অনেকেই সকাল থেকেই খাওয়াদাওয়ার পর্ব শুরু করে দিয়েছেন। আর উৎসবের দিন ডায়েটের খেয়াল কারই বা থাকে। তাই মনের আশ মিটিয়ে দারুণ সব খাবার খেয়ে ফেলেছেন অনেক। কিন্তু এইসব খাবার একসঙ্গে পেটে যাওয়ায় এবার আপনার ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা।
বেশি খেয়ে ফেলেছেন, ভাজাভুজি থেকে মিষ্টি, শরবত-ঠান্ডাই-ভাঙ, বাদ যায়নি কিছুই। সঙ্গে আবার ফুচকা-চাট এসবও পড়েছে পেটে। বদহজম আর অ্যাসিডিটির সমস্যা এড়াতে সহজ কয়েকটা নিয়ম মেনে চলুন। উপকার পাবেন।
১। যদি অ্যাসিড হয়েছে বলে মনে হয়, তাহলে অতি অবশ্যই সবার আগে একটা অ্যান্টাসিড খেয়ে নিন।
২। প্রচুর পরিমাণে জল খান। নাহলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। তবে একসঙ্গে অনেকটা জল খাবেন না। বারেবারে অল্প করে জল খান।
৩। খুব আইঢাই অবস্থা হলে বা অস্বস্তি হলে সামান্য জোয়ান মুখে দিতে পারেন। এতে গা গোলানো বা বমি ভাব হবে না।
৪। যাঁরা অ্যালকোহল খেয়েছেন বা ভাঙ খেয়েছেন, নেশা কাটাতে তাঁদের জন্য অব্যর্থ লেবুজল। সামান্য বিটনুন মিশিয়ে নিতে পারলে আরও ভাল।
৫। মাথা ধরার সমস্যা হলে আগে ভাল করে স্নান করুন। তারপর কোনও এসেন্সিয়াল অয়েল বা বাম লাগিয়ে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করুন। একদম নিরুপায় না হলে মাথা ব্যথার ওষুধ খাবেন না। পেনকিলার এমনিতেই আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিডনি বিকল করে দেয় এই পেনকিলার।
৬। আগামী দু’ থেকে তিনদিন ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। মশলাদার খাবার একেবারেই খাবেন না। পরিমিত জল খান। একটু জোলো বা রসালো ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। সাধারণ বাড়ির খাবার খান লাঞ্চ এবং ডিনারে।
৭। এইসব কিছু খাবারের সঙ্গে অতি অবশ্যই নজর দিন ঘুমের সময়ের উপর। পরিমিত ঘুম খুবই প্রয়োজন। শরীর ঠিকভাবে বিশ্রাম পেলেই চাঙ্গা হয়ে উঠবেন আপনি।