Side Effects: কাজের চাপে ল্যাপটপের সামনেই খাওয়ার অভ্যেস! কী মারাত্মক ভুল করছেন জানেন?

করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে না হতেই অফিস খোলার উদ্যোগ নিচ্ছেন বেশ কিছু সংস্থা। ফলে সেই পুরনো গতানুগতিক পদ্ধতিতেই অভ্যস্ত হওয়ার সময় এসেছে।,

Side Effects: কাজের চাপে ল্যাপটপের সামনেই খাওয়ার অভ্যেস! কী মারাত্মক ভুল করছেন জানেন?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 8:05 PM

করোনা অতিমারির জেরে গত দেড় বছর ধরে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ব্যস্ত সরকারি ও বেসরকারি কর্মীরা। গত কয়েকমাসে এইভাবে কাজ করতে করতে লক্ষাধিক কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করতেই বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাড়িটিকেই উপযুক্ত অফিসের মতো তৈরি করে ফেলেছেন অধিকাংশ। আবার অনেকে কর্পোরেট সেটআপ তৈরি করতে কোনও ত্রুটি রাখেননি। শুধু অফিসের কাজ তো নয়, এমন কাজে পটু হয়ে গিয়েছেন যে বাড়ির কাজকর্মকে সামলে দিব্য অফিসের কাজ করছেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে না হতেই অফিস খোলার উদ্যোগ নিচ্ছে বেশ কিছু সংস্থা। ফলে সেই পুরনো গতানুগতিক পদ্ধতিতেই অভ্যস্ত হওয়ার সময় এসেছে।,

প্রসঙ্গত, কর্মক্ষেত্রে সাধারণত লাঞ্চ টাইমে বা ব্রেকের সময় ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার খাওয়ার একটি নিয়ম রয়েছে। ব্যস্ত ও কাজের চাপ কমাতে তাই ওই ক্যাফেটেরিয়াই অফিসের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম থাকায় সেই মজাদার ক্যাফেটেরিয়াকে অনেকেই মিস করেছেন। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা জানেন এই অভ্যাসটি স্বাস্থ্যের উপর কতটা প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু যাঁরা ডেস্কেই কাজ করতে করতে দুপুরের খাবার খান, তাঁরা কী ক্ষতি করছেন, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই।

কর্মক্ষেত্রে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে অনেকরই অভ্যেস রয়েছে, খেতে খেতে কাজ করা। মানেটা হল, একহাতে কিবোর্ড, অন্যহাতে টিফিনবক্সের চামচ। এতে শরীরের কম কখনও বেশি মাত্রায় ক্যালোরি খাওয়া হয়ে যায়। আবার অনেক সময় স্বাভাবিকের থেকে কম বা বেশি খাওয়া হয়ে যায়।

কাজের চাপে খাবার সময় থাকে না অনেকেরই। এমনও হয়েছে, ল্য়াপটপকে মাত্র পাঁচ মিনিটের বিরতি দিয়ে দ্রুত লাঞ্চ করতে গিয়েছেন। ফের ল্য়াপটপে মাথা গুঁজে কাজ করতে ব্য়স্ত হয়ে পড়েন। এমন দ্রুতগতিতে খাওয়া শরীরের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। তৃপ্তি করে খেতে না পারলে সেই খাবারের মান কমে যায়। এছাড়া বাড়িতে থাকাকালীন ডাইনিং টেবিলে বসেই খাওয়ার অভ্যেস হঠাত করে বদলে ফেলবেন না।

কাজের চাপ ও ডেডলাইন শেষ করতে গিয়ে অনেকেই এই সময় হাতের কাছে যা পান তাই খান। নুডলস, স্যান্ডউইচ, বার্গার বা ফ্রাইয়ের মতোন খাবারগুলি স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়।

কাজ থেকে মাঝে মাঝে বিরতি নিতে হয়। নাহলে মানসিক চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। প্রয়োজনীয় বিরতি না নিলে, অফিসের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে কথা না বললে, একসঙ্গে খাবার খাওয়ার আনন্দ উপভোগ না করলে কর্মজগতে আপনি মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারেন।

আরও পড়ুন: Benefits of Buttermilk: শরীর-মনকে তাজা রাখতে দরকার শুধুমাত্র একগ্লাস বাটারমিল্ক! এর রয়েছে হাজারো গুণ…