Food Preservatives and Poisons: খাবারে বিষ! প্যাকেটজাত খাবার থেকে থাকুন দূরেই…

সোডিয়াম বেনজয়েট একটা বহু ব্যবহৃত প্রিজারভেটিভ। যা খাবারের সঙ্গে পেটে গেলে শিশুরা মোটা হয়ে যায়, তাদের মনঃসংযোগ ব্যাহত হয়। আর এক প্রিজারভেটিভ সোডিয়াম নাইট্রাইট থেকে ক্যানসার হয়, চিন্তাশক্তি কমে যায়, স্নায়ুর সমস্যা বাড়ে। আবার প্যাকেটজাত ফলের রসে যে প্রিজারভেটিভ থাকে তা সাধারণের হাঁপানির কারণ হতে পারে। ফ্রোজেন ডেজার্টে থাকা প্রিজারভেটিভ খাদ্যনালী ও হার্টের ক্ষতি করে।

Food Preservatives and Poisons: খাবারে বিষ! প্যাকেটজাত খাবার থেকে থাকুন দূরেই...
Follow Us:
| Updated on: Jul 10, 2024 | 7:08 PM

স্ন্যাকস থেকে ড্রিঙ্কস, প্যাকেটজাত খাবার ছাড়া আমাদের চলেই না। কিন্তু, আমরা যখন রঙচঙে প্যাকেটে ভরা খাবার কিনি তখন খেয়াল রাখি না তাতে কতটা খাদ্যগুণ কতটা রয়েছে। যাঁরা নজর দেন, তাঁদেরও যে চোখের পরীক্ষা দিতে হয়! কারণ, প্যাকেটে এই সব তথ্য এতই ছোট হরফে লেখা হয় যে নজরেই আসে না। নানা সংস্থা দাম ও ছাড়ের কথা ঢালাও করে লিখলেও খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তথ্য স্রেফ চেপে যায়। এই অবস্থায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান বিষয়ক সংস্থা, Food Safety and Standards Authority of India বা FSSAI এক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে সায় দিল। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে এবার থেকে যে কোনও প্যাকেটবন্দি খাবারের ক্ষেত্রে তার পুষ্টিগুণ কী, তা বড় এবং মোটা হরফে প্যাকেটে লিখতে হবে। খাবারে কতটা নুন, চিনি, ফ্যাট আছে তা স্পষ্ট করে বলে দিতে হবে। যাতে ক্রেতারা খাবারের পুষ্টিগুণ, লাভ-ক্ষতি সম্পর্কে আরও সচেতন হতে পারেন। যাতে, অসুখ-বিসুখ দূরে থাকে।

সম্প্রতি Food Safety & Standards Authority of India বৈঠকে বসে। সেখানে খাদ্য, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও আইনমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যে খাবারের প্যাকেটে সুগার, ফ্যাট, সোডিয়ামের মাত্রা আগের চেয়ে মোটা, বড় ও স্পষ্ট হরফে লেখা হবে। যাতে কেনার সময়ে সহজে তা সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে। কয়েকদিনের মধ্যেই খসড়া নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে নিজেদের পরামর্শ এবং অভিযোগ জানাতে পারবেন। তার পর এটি নির্দেশ হিসাবে কার্যকর করা হবে।

আর প্যাকেটবন্দি খাবার তাজা রাখতে প্রিজারভেটিভ তো থাকবেই। সেই প্রিজারভেটিভও শরীরের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। চিকিত্‍সকরা বলছেন, বিভিন্ন ধরণের প্রিজারভেটিভ আমাদের হজমশক্তি খারাপ করে দেয়, ফলে শরীরে পুষ্টি হয় না। নিয়মিত বেশি মাত্রায় প্রিজারভেটিভ পেটে গেলে ডায়াবিটিস, লিভার, হার্ট, কিডনির অসুখ হতে পারে। বিশেষ করে প্যাকেটবন্দি পণ্যে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক শিশুদের ওপরে সবচেয়ে খারাপ প্রভাব ফেলে। কৃমির সমস্যা হয়, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যেমন, সোডিয়াম বেনজয়েট একটা বহু ব্যবহৃত প্রিজারভেটিভ। যা খাবারের সঙ্গে পেটে গেলে শিশুরা মোটা হয়ে যায়, তাদের মনঃসংযোগ ব্যাহত হয়। আর এক প্রিজারভেটিভ সোডিয়াম নাইট্রাইট থেকে ক্যানসার হয়, চিন্তাশক্তি কমে যায়, স্নায়ুর সমস্যা বাড়ে। আবার প্যাকেটজাত ফলের রসে যে প্রিজারভেটিভ থাকে তা সাধারণের হাঁপানির কারণ হতে পারে। ফ্রোজেন ডেজার্টে থাকা প্রিজারভেটিভ খাদ্যনালী ও হার্টের ক্ষতি করে।

তাহলে এমন প্রশ্ন আসতেই পারে, যে কোন খাবারে কী রাসায়নিক মেশানো আছে তা চিনব কীভাবে? প্যাকেটজাত খাবারের গায়ে প্রিজারভেটিভের নাম কোড দিয়ে লেখা থাকে। প্রথমে থাকবে INS বা E, তারপর থাকবে কয়েকটা সংখ্যা। INS মানে হল ইন্টারন্যাশনাল নাম্বারিং সিস্টেম ফর ফুড অ্যাডিটিভস আর E মানে হল ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড। এই INS বা E ও তারপরের সংখ্যাগুলো পরপর লিখে নেটে সার্চ করতে পারেন। তাহলে প্রিজারভেটিভের নাম জানতে পারবেন। সেখান থেকে জেনে যাবেন কোনটায় কী ক্ষতি। তারপর ঠিক করুন এ জিনিস আর খাবেন কিনা।

চিকিত্‍সকরা বলছেন প্যাকেটজাত খাবার পুরোপুরি বাদ দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। শিশুদের টিফিনে কেক, প্যাটিস, বিস্কুটের বদলে সুজি, ছোলা, বাদাম-এসব দেওয়া যেতে পারে। তারা বুঝতে না চাইলে তাদের বুঝিয়ে বলতে হবে। আর আমরা জেনেশুনে বিষ খাব কিনা, সেটা আমাদেরই ঠিক করতে হবে।