World Coconut Day: নারকেল স্বাস্থ্যে কী ভূমিকা পালন করে জানেন?
নারকেলে কম পরিমাণ কার্বো এবং বেশি পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
ভারত-সহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে প্রতি বছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নারকেল দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বের প্রতিটি নারকেল উত্পাদনকারী দেশের জন্য এই দিনটিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর ধরে এই সব দেশগুলিতে বিভিন্ন ভাবে নারকেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীনকাল থেকে ওষুধ রূপে নারকেলের ব্যবহার চলে আসছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করার ক্ষেত্রে ভীষণ সহায়ক নারকেল। তাহলে চলুন আজকের এই বিশেষ দিনে নারকেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক।
নারকেলের মধ্যে প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে। মূলত নারকেলের মধ্যে থাকা ফ্যাটকে হেলথি ফ্যাট বলা হয়। এছাড়াও এর মধ্যে কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে যা আপনার শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নারকেলের মধ্যে কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং আয়রন রয়েছে। মাত্র দু চামচ নারকেলের মধ্যে রয়েছে ৩৫ ক্যালোরি, ১ গ্রামেরও কম প্রোটিন, ৩ গ্রাম ফ্যাট, ২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম ফাইবার এবং ১ গ্রাম শর্করা।
নারকেল খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে। যাঁদের ব্যাড কোলেস্টেরল রয়েছে তাঁরা নারকেল খেতে পারেন। এতে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকবে এবং হৃদ রোগের ঝুঁকি কমে যাবে। নারকেল ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত বেলি ফ্যাট কমানোর ক্ষেত্রে নারকেল খুব উপযোগী।
নারকেলে কম পরিমাণ কার্বো এবং বেশি পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নারকেলের মধ্যে ডায়াবেটিক বিরোধী প্রভাব রয়েছে। সুতরাং, ডায়বেটিস রোগীরা প্রয়োজনে নারকেল খেতে পারেন।
নারকেলের মধ্যে ফেনোলিক রয়েছে যা এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নারকেলের মধ্যে থাকা এই বিশেষ ফেনোলিক গুলি হল গালিক অ্যাসিড, কাফিক অ্যাসিড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, পি-কৌমারিক অ্যাসিড। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
নারকেলে প্রচুর পরিমাণে মিডিয়াম চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (এমসিএফএ) থাকে, এটা এক ধরণের স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা মানুষের শরীরের পক্ষে হজম করা অনেক সহজ। এই চর্বি, যাকে মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড (এমসিটি)ও বলা হয়, তা প্রশিক্ষিত ক্রীড়াবিদদের সহনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
নারকেলে পাওয়া এমসিএফএ গুলিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এগুলি রুট ক্যানাল এবং অন্যান্য দাঁতের সমস্যা সম্পর্কিত সংক্রমণ প্রতিরোধে উপযোগী হতে পারে। যদিও নারকেল খাওয়া সঠিক দাঁতের স্বাস্থ্যবিধির বিকল্প নয়, তবুও মুখের মধ্যে বর্তমান কিছু অবাঞ্ছিত ব্যাকটেরিয়াকে বিনাশ করতে এবং মাড়ি ও দাঁতকে সংক্রমণ বা গহ্বর থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘কল্পবৃক্ষ’ নিয়ে ১০ অজানা তথ্য, যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত