যতই শীতের আলস্যি লাগুক না কেন ব্রেকফাস্ট কোনও ভাবেই বাদ দিলে চলবে না। সকালের এই সময়টা যদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যায় তাহলে সারাদিন আর কোনও সমস্যা থাকে না। সেই সঙ্গে বহু অসুখও সেরে যায়।
ওজন কমানোর জন্যেও প্রধান হল এই ব্রেকফাস্ট। রোজ নিয়ম করে ব্রেকফাস্ট করলে ওবেসিটির সমস্যা আসে না। সঙ্গে হজমও হয় ঠিক করে। ফলে আর কোনও চিন্তা থাকে না। ব্রেকফাস্টে পেট ভরে খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিদে পায় না। নইলে কিছু সময় অন্তর খিদে পেতেই থাকে।
যে কারণে রোজকার খাবারের তালিকায় প্রোটিন রাখতেই হবে। প্রোটিন সঠিক পরিমাণে শরীরে পৌঁছলে তবেই হরমোন , উৎসেচক তৈরি হয়। সেই সঙ্গে পেশীর জোর বাড়ে। হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে।
রোজ সকালে একটা করে ডিম খেতেই হবে। ওমলেট বা পোচের থেকে ভাল যদি দিম সিদ্ধ করে খেতে পারেন। সিদ্ধ ডিমের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে বেশি। অন্তত ২ টো ডিমের সাদা খান। কুসুম খাবেন না।
দিনের শুরুতে পেটে পড়ুক দই। তবে মিষ্টি দই একেবারেই নয়। ঘরে পাতানো টক দই হলে তা সবচাইতে ভাল হয়। দইয়ের মধ্যে থাকে ল্যাকটোব্যাসিলাস। যা আদতে প্রোবায়োটিক। সেই সঙ্গে দই হল প্রোটিনের উৎস। তাই রোজ একবাটি করে দই খেতে পারেন। দই এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন ওটস বা কর্নফ্লেক্স।
একগ্লাস করে দুধ খেতে পারেন। যাদের দুধে সমস্যা রয়েছে তাঁরা একবাটি করে ছানা খান। ছানার মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। এছাড়াও থাকে ক্যাবলশিয়াম। যা হাড় আর দাঁতের জন্য খুবই ভাল।
ব্রেকফাস্টে শুরুতেই থাক একমুঠো নো ছোলা, বাদাম, গুড় আর আদাকুচি। খালিপেটে এই ভেজানো ছোলা খেতে পারলে শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পৌঁছয়। যে কারণে শরীর ভাল থাকে। শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। শীতকালীন যে কোনও সংক্রমণ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।