Panic attack: হৃদরোগের সমস্যা ছাড়াও ধড়ফড় করে ওঠে বুক, জেনে নিন কারণ এবং ঘরোয়া সমাধান
Anxiety disorders Symptoms and causes: অনেক সময় বুকের চারপাশ মোচড় দিয়ে ওঠে, বুকে টান লাগে সেই সঙ্গে অসহ্য চাপ এসবব ও প্যানিক অ্যাটাকের উপসর্গ
হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক বছরে। লকডাউনের পর থেকে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বগামী। বিশ্বজুড়ে বেড়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, মাত্রাতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা- এসবই হৃদরোগের অন্যতম কারণ। তবে শুধু হার্টের সমস্যা থাকলেই নয় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, অ্যাংজাইটি থেকেও হতে পারে এই সমস্যা। আমাদের সকলেরই জীবনে কাজের চাপ এখন অনেক বেশি। সঙ্গে মানসিক চাপ তো আছেই। সবসময় মনের মধ্যে ভয়, ভীতি, অস্থিরতা, উদ্বেগ কাজ করলে সেখান থেকেও কিন্তু বুকে চাপ পড়ে। হঠাৎ করে বুকে ব্যথা, গলা শুকিয়ে আসা, দম বন্ধ হয়ে আসা, শ্বাস নিতে না পারা এসবই কিন্তু অ্যাংজাইটি বা প্যানিট অ্যাটাকের লক্ষণ। প্যানিক অ্যাটাক হলেও কিন্তু বুকে ব্যথা হতে পারে। বুকে চিনচিনে ব্যথা, হঠাৎ করে বুকে চাপ লাগা এসবও কিন্তু অ্যাংজাইটি থেকে হতে পারে।
অনেক সময় বুকের চারপাশ মোচড় দিয়ে ওঠে, বুকে টান লাগে সেই সঙ্গে অসহ্য চাপ এসবব ও প্যানিক অ্যাটাকের উপসর্গ। অনেকের আবার বুক জ্বালা করে, হার্ট অ্যার্টাকের ব্যথার সঙ্গে একে গুলিয়ে ফেললে চলবে না।
এই ভাবে প্যানিক অ্যাটাক আসলে নিজেকেই কিন্তু প্রাথমিক ভাবে সামাল দিতে হবে। উতলা হলে চলবে না। ধীরে ধীরে সব ঠিক হবে। মনকে শান্ত করে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, শ্বাস ছাড়ুন। মনে মনে ১-১০ পর্যন্ত গুণতে থাকুন। এমন কিছু কল্পনা করুন, এমন কোনও গান করুন যা মনকে শান্ত করে দেয়। এমন কোনও দৃশ্যের কল্পনা করুন যা আপনাকে শান্ত রাখবে। ফলে তাৎক্ষণিক কষ্ট থেকেও রেহাই মিলবে। কোনও পরিস্থিতিতেই ভয় পাবেন না। ধীরে ধীরে নিজের চেষ্টায় সবটা সারিয়ে তোলা সম্ভব। আরাম করে বসুন কিছুটা সময়, জল খান এভাবেই প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতির সামাল দিতে পারবেন। যদি বার বার প্যানিক অ্যাটাক আসে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। তিনি যেভাবে চলতে বলবেন সেই ভাবেই চলুন।