Weight Management: ওজন বেশি হলেও কি ফিট থাকা যায়? জেনে নিন

বেশির ভাগ মানুষের ধারণা যে, রোগা থাকলে তবেই সে স্বাস্থ্যবান, যার ওজন বেশি সে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নয়। আসল সত্যিটা কী?

Weight Management: ওজন বেশি হলেও কি ফিট থাকা যায়? জেনে নিন
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2021 | 11:50 AM

অনেক সময়ই আমরা একটা শুনে থাকি, স্লিম হওয়ার থেকে ফিট থাকা বেশি জরুরি। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষের ধারণা যে, রোগা থাকলে তবেই সে স্বাস্থ্যবান, যার ওজন বেশি সে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নয়। আসল সত্যিটা কী? ওজন বেশি বা কমের ওপর স্বাস্থ্য নির্ভর করে কিন্তু সবচেয়ে বেশি জরুরি আপনি কতটা ফিট। আর ওজন আপনি কতটা ফিট সেটা বলতে পারে না। ওজন ও ফিট নিয়ে আলোচনা করার আগে আমাদের বডি মাস ইনডেক্স সম্পর্কে জানতে হবে।

বডি মাস ইনডেক্স কী?

বডি মাস ইনডেক্স, যা বিএমআই (BMI) নামেও পরিচিত, এটি হল উচ্চতা এবং ওজনের অনুপাত। এটির দ্বারা জানা যায় যে আপনার শরীরের যে ওজন তাতে আপনি সুস্থ আছে কিনা। বডি মাস ইনডেক্স বলতে পারে আপনার ওজন বেশি কি না। তবে আপনি যদি পেশীবহুল বা তরুণ বা বয়স্ক হন বডি মাস ইনডেক্স সেই ভাবে বিবেচিত হয় না। বডি মাস ইনডেক্সে কোমরের পরিধি থেকে শুরু করে আপনার স্থূলতা জনিত রোগ যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ইত্যাদি নির্ধারণ করে বিবেচিত হয়।

ওজন বেশি হওয়ার সঙ্গে ফিট থাকা কি সম্ভব?

১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের মাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হতে পারে, যদি তাদের কোমরের আকার মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩৫ ইঞ্চি এবং পুরুষদের ৪০ ইঞ্চির কম হয়। তার সঙ্গে যদি তাঁরা ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মত সমস্যায় না ভোগেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার ওজন বেশি হতে পারে এবং তার পরও আপনি ফিট থাকতে পারেন। এর কারণ হল অনেকের ফ্যাটের পরিমাণের থেকে পেশীর পরিমাণ বেশি থাকে, যে কারণে তাদের ওজন বেশি হয়। এমনও অনেক কেস রয়েছে যেখানে ব্যক্তির ওজন তুলনামূলক ভাবে কম কিন্তু তাঁর শরীরে চর্বির পরিমাণ বেশি। সেই ক্ষেত্রে সে স্বাস্থ্যবান নয় এবং তাঁর মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পেতে পারে।

ফিটনেসের ওপর নজর দেওয়া জরুরি

আপনি কতটা ফিট তা আপনার ওজনের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যদি না আপনি মোটা হন। যতটা সম্ভব শরীর চর্চা করার চেষ্টা করুন। এটি আপনাকে কেবল ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করবে না, বরং হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, অস্টিওপরোসিস এবং অন্যান্য অনেক ধরনের রোগকে প্রতিরোধ করবে।

ওজন কমাতে নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য খাওয়াও প্রয়োজন। এতে বিএমআই পরিবর্তন খুব একটা হবে না। ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে শরীরের ওজন মাত্র ৫-১০ শতাংশ হ্রাস ভাল কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপের মাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত।

আরও পড়ুন: এতদিন অবহেলা করেছেন, আর নয়! পেঁপের বীজের গুণে পাল্টে যেতে পারে জীবন