মোবাইল অ্যাপেই হবে অক্সিমিটারের কাজ, সৌজন্যে কলকাতার হেলথ-স্টার্টআপ

মোবাইল অ্যাপের সাহায্যেই অক্সিমিটারের কাজ সম্ভব হবে। তাই গুচ্ছ টাকা খরচ করে পালস অক্সিমিটার না কিনলেও চলবে।

মোবাইল অ্যাপেই হবে অক্সিমিটারের কাজ, সৌজন্যে কলকাতার হেলথ-স্টার্টআপ
ছবি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: May 24, 2021 | 8:19 PM

অক্সিমিটার, বছর খানেক আগেও হয়তো এই শব্দটার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না সকলে। তবে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই অক্সিমিটার মানবজীবনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। করোনা আবহে অনেক আক্রান্তেরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন মারাত্মক ভাবে নেমে গিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে সঠিক ভাবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রার দিকে খেয়াল রাখার জন্য এই অক্সিমিটারই আমাদের ভরসা। কিন্তু এর মধ্যেই অনেকে অভিযোগ জানিয়েছেন যে দুর্গতদের করুণ পরিস্থিতি নিয়ে নাকি একদল মানুষ এই অক্সিমিটারেরও কালোবাজারি শুরু করেছে। ওষুধের দোকান সাফ জানাচ্ছে তাদের কাছে অক্সিমিটার নেই। আর যেখানে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে দাম এতই চড়া যে তা কার্যত মধ্যবিত্তের আওতার বাইরে।

এই অবস্থায় প্রকাশ পেল একটি সুখবর। এবার থেকে নাকি মোবাইল অ্যাপের সাহায্যেই অক্সিমিটারের কাজ সম্ভব হবে। তাই গুচ্ছ টাকা খরচ করে পালস অক্সিমিটার না কিনলেও চলবে। অন্য উপায়ও রয়েছে। কলকাতার একটি ‘হেলথ স্টার্টআপ’ সম্প্রতি এমন একটি মোবাইল অ্যাপের সূচনা করেছে, যার মাধ্যমে অক্সিমিটারের কাজ সম্ভব। নতুন এই মোবাইল অ্যাপের নাম CarePlix Vital’s। এই অ্যাপের সাহায্যে হার্ট রেট, পালস, ব্লাড-অক্সিজেন লেভেল… সবই পরিমাপ করা সম্ভব।

কীভাবে কাজ করবে এই মোবাইল অ্যাপ?

CarePlix Vital’s অ্যাপের ক্ষেত্রে ইউজারকে তাঁর আঙুল ফোনের পিছনের ক্যামেরা এবং ফ্ল্যাশলাইটের সামনে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। নিমেষেই ওই নির্দিষ্ট ইউজারের অক্সিজেন স্যাচুরেশন (SpO2), পালস এবং রেসপিরেশন রেট… ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে। এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য ইউজারের স্মার্টফোনে ওই অ্যাপটি ইনস্টল থাকতে হবে।

কেয়ার-নাউ হেলথকেয়ারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শুভব্রত পাল জানিয়েছেন, এই মোবাইল অ্যাপে photoplethysmography (PPG) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে ফোনের পিছনের ক্যামেরা এবং ফ্ল্যাশলাইটের সাহায্যে ইউজারের আঙুল স্ক্যান হয়ে পিপিজি গ্রাফ পাওয়া সম্ভব। ফোনের স্ক্রিনে ওই গ্রাফ থেকেই অক্সিজেন স্যাচুরেশন (SpO2), পালস এবং রেসপিরেশন রেট… এইসবের পরিমাপ জানা যাবে।

আরও পড়ুন- করোনা থেকে সেরে উঠছেন? তারপরেও দেখা দিতে পারে এইসব শারীরিক সমস্যা

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এই CarePlix Vital’s অ্যাপ একটি রেজিস্ট্রেশন ভিত্তিক অ্যাপ। এই অ্যাপে থাকা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বুঝে নেবে ঠিক কতটা শক্তিশালী ভাবে একজন ব্যবহারকারী ফোনের পিছনের ক্যামেরায় তাঁর আঙুল রাখছেন। যত শক্তিশালী ভাবে আঙুল রাখা হবে, রিডিং তত ভাল আসবে। চলতি বছরের শুরুর দিকে কলকাতার শেঠ সুখলাল কারনানি মেমোরিয়াল হাসপাতালের উদ্যোগে ১২০০ জনের উপর এই অ্যাপের সাহায্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। অ্যাপের সাহায্যে যে রিডিং পাওয়া গিয়েছে তা সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা। তাঁদের কথায় হার্ট বিটের ক্ষেত্রে ৯৬ শতাংশ এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশনের ক্ষেত্রে ৯৮ শতাংশ অ্যাকিউরেসি আছে এই অ্যাপের।