Mysterious Disease: নাক দিয়ে গল-গল করে রক্ত, সঙ্গে প্রচণ্ড জ্বর! অজানা রোগে কাঁপছে এই দেশ

World Health Organization: পোকামাকড়ের কামড়ে এই রোগটি প্রাণীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে এসে মানুষ এই সংক্রামক রোগের শিকার হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত, ইরাকে মানুষের মধ্যে সিসিএইচএফ সংক্রমণের ১১১টি ঘটনার কথা জানা গিয়েছে।

Mysterious Disease: নাক দিয়ে গল-গল করে রক্ত, সঙ্গে প্রচণ্ড জ্বর! অজানা রোগে কাঁপছে এই দেশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 7:47 AM

করোনা (Coronavirus), মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) পর এবার আরও এক অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিল বিশ্বে। মধ্য প্রাচ্য এশিয়ার ইরাকে (Iraq) সম্প্রতি এক নতুন ধরেনর রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এই অজানা রোগের উপসর্গই হল, নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হওয়া , সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচন্ড জ্বর। নাক দিয়ে অতিরিক্ত রক্ত ​​পড়ায় এ রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই রোগের তথ্য অনুসারে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে যে ইরাকে এ পর্যন্ত এই রোগে ১৯ জন মারা গিয়েছে। হাসাপাতালে আরও কয়েকজন ভর্তি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যার কোনও ভ্যাকসিন এখনও পাওয়া যায়নি। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরুতে কীটনাশক স্প্রে করার সময় এক স্বাস্থ্যকর্মী এই ভাইরাসে সংক্রমণের শিকার হন।

ইরাকের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই অজানা রোগ দ্রুত আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগের প্রাদুর্ভাবের পরে পিপিই কিট পরে কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই হেমোরেজিক জ্বরের নামকরণ করা হয়েছে ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার (CCHF) নামে। যেটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পোকামাকড়ের কামড়ে এই রোগটি প্রাণীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে এসে মানুষ এই সংক্রামক রোগের শিকার হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত, ইরাকে মানুষের মধ্যে সিসিএইচএফ সংক্রমণের ১১১টি ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। এ রোগ সম্পর্কে চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হওয়ায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো নাক থেকে রক্ত ​​পড়া। CCHF এর পাঁচটি ক্ষেত্রে 2 জনের মৃত্যুর কারণ হল নাক দিয়ে রক্ত ​​পড়া। ধি কার প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হায়দার হানতুচে জানিয়েছেন, এই সিসিএইচএফ-এর ঘটনার সংখ্যা নজিরবিহীন। এই সংক্রামক রোগের অর্ধেকেরও বেশি ঘটনা দক্ষিণ ইরাকে ঘটছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মতে, বিগত বছরগুলোতে এ রোগে হাতের মুঠোয় গুনতে পারলেও বর্তমানে এ রোগটি বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। চিকিত্সকরা বলছেন যে ধি কার প্রদেশে, মহিষ, গরু, ছাগল এবং ভেড়ার মতো বন্য এবং গৃহপালিত প্রাণী থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

অন্যদিকে, আমেরিকা, ব্রিটেন ছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন সহ বিভিন্ন দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। ব্রিটেনে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। ভারতে এখনও মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিশ না মিললেও, সতর্ক কেন্দ্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ২৬ মে পর্যন্ত ২৩টি দেশে ২৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছে এখনও পর্যন্ত। ১২০টি নমুনা আক্রান্ত হতে পারে সেই তালিকায় রয়েছে।