Diabetes: সুগারকে বাগে আনতে রোজ কতটা পরিমাণ তেতোকে পাতে রাখবেন?

Health Tips: বেশির ভাগ মানুষের মনে প্রশ্ন থাকে যে, তেতো খেলে কি সত্যিই কোনও উপকার পাওয়া যায় শরীরে। এতে কি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রক্তে শর্করার মাত্রা?

Diabetes: সুগারকে বাগে আনতে রোজ কতটা পরিমাণ তেতোকে পাতে রাখবেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 12:29 PM

ডায়াবেটিস (Diabetes) হচ্ছে এমন একটি রোগ যা সহজে ধরা পড়ে না। আর ধরা পড়লে সহজে নিরাময় করে না। এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা ছাড়া আর কোনও উপায়। কারণ আপনি যদি জীবনধারা মেনে না চলেন তাহলে আরও রোগ ঘিরে ধরতে পারে আপনাকে। ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি, চোখ, নার্ভ ইত্যাদির ওপর কু-প্রভাব পড়তে পারে। তাই সময় থাকতে সচেতন হওয়া বিশেষ জরুরি। কিন্তু সচেতন হতে গিয়ে ভ্রান্ত ধারণা পুষে রাখবেন না। অনেকেই মনে করেন যে, তেতো খাবার খেলেই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু এই বিষয়টা কতটা সত্যি সেটা জেনে নেওয়া দরকার।

আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোন রক্তে থাকা শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোন প্যাংক্রিয়াস থেকে নির্গত হয়। যদি এই ইনসুলিন হরমোন কম পরিমাণে নির্গত হয় বা কোনও ভাবে এই হরমোনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই সমস্যা দেখা দেয়। এই অবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। একেই ডায়াবেটিস বলে। কিন্তু এই অবস্থায় তেতো খাবার খেলে আদৌ কি কোনও উপকার পাওয়া যায়?

বেশির ভাগ মানুষের মনে প্রশ্ন থাকে যে, তেতো খেলে কি সত্যিই কোনও উপকার পাওয়া যায় শরীরে। এতে কি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। চিকিৎসকদের মতে, তেতো খেলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রাখা যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। কিন্তু সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় বেশি পরিমাণে তেতো খেতে হবে। অর্থাৎ, রোজ গরম ভাবে নিম বেগুন কিংবা করলা ভাজা খেলেন এতে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না শরীরে। যদি সুগার কমাতে হয় তাহলে দিনে এক কিলো তেতো খাবার খেতে হবে, যেটা বাস্তবে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে প্রতিদিন খাবার পাতে অল্প পরিমাণ তেতোই রাখুন।

সামান্য পরিমাণ তেতো খেয়ে হয়তো একেবারে আপনি সুগার লেভেলকে কমিয়ে ফেলতে পারবেন, তা নয়। কিন্তু অবশ্যই এতে শরীরে প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেতো খেলে সুগার তো নিয়ন্ত্রণে থাকেই, এর পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সাহায্য করে। তেতো জাতীয় খাবারের মধ্যে ফাইবার রয়েছে যা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

কিন্তু সুফল পেতে কখনওই কাঁচা অবস্থায় তেতো সবজি খেয়ে ফেলবেন না। দ্রুত ফল পেতে অনেকেই কাঁচা করলা, উচ্চে, নিম পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিলেন, এই ভুল কাজ একদম নয়। এতে শরীরে উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। উপরন্ত এতে পেটে সংক্রমণের সম্ভাবনা বহু গুণ বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই আপনাকে ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। ভাত, রুটির মতো কার্ব খাবারগুলির বদলে এমন খাবার বেছে নিন যেগুলোতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। যেমন ওটস, ডালিয়া ইত্যাদি। এর পাশাপাশি চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম করলে শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এবং এতে কখনওই আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে না। আর চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই মেনে চলবেন।