New Symptom of Diabetes: পেটেব্যথাও কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ! ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে যা করণীয়
Diabetes Warning Signs: নিঃশ্বাস বা মুখে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবে যদি গন্ধ আসে তাহলে কিটোন পরীক্ষা করান এবং সেইমতো চিকিৎসা শুরু করুন। কিটোনের মাত্রা বাড়লে সেখান থেকে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা অনেক খানি বেড়ে যায়
বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস। এখন প্রতি পাড়ার প্রতি বাড়িতে একজন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাবে। এখনকার জীবনযাত্রায় ডায়াবেটিসের কোনও বয়স নেই। একদম ছোট বয়সেও এই রোগ জাঁকিয়ে বসছে শরীরে আবার আঠারো পেরোতে না পেরোতেই রক্তে বাড়ছে শর্করার পরিমাণ। ডায়াবেটুস দু রকম। টাইপ ১ আর টাইপ ২। কিছুক্ষেত্রে ডায়াবেটিস জিনগত। আবার কিছুজনের ক্ষেত্রে জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস এসবই হল প্রধান। কেনো ডায়াবেটিস হয় এর কোনও উত্তর নেই। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয়। এবার এই ইনসুলিন হরমোন যদি কোনও কারণে উৎপন্ন না হয় বা পরিমাণের তুলনায় কম হয় তাহলে রক্তশর্করা বাড়বেই। ডায়াবেটিসের স্থায়ী কোনও সমাধান নেই। চিকিৎসা, ওষুধ, খাবার এসবের মাধ্যমেই একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র।
সম্প্রতি ডায়াবেটিসের নতুন লক্ষণ কিছু দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা গুলিকে সাধারণত মানুষ উপেক্ষা করে যান। কোনও কিছুর সমস্যা বা লক্ষণ হতে পারে বলে মানতেই চান না। ইন্টারনেট বলছে এটাই ডায়াবেটিসের মুখ্য উপসর্গ। ডায়াবেটিসের এই নতুন লক্ষণগুলি খুবই বিপজ্জনক। বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকেরা অনেক আগেই এই লক্ষণগুলি আবিষ্কার করেছিলেন। ডায়াবেটিসের এই নতুন লক্ষণকে বলা হচ্ছে ডায়াবেটিক কেটোঅ্যাসিডোসিস।
ইনসুলিন হরমোন শরীরের রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেন্ট্রার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে যেমন জানানো হয়েছে যে ডায়াবেটিক কেটোঅ্যাসিডোসিস মারাত্মক আকার নিতে পারে। এমনকী এখান থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এর ফলে শরীরে ইনসুলিন খুব কম পরিমাণে তৈরি হয়। পরিবর্তে কিটোন বেশি পরিমাণে তৈরি হয়। এই কিটোনগুলি শরীরের জন্য বিষাক্ত
নিঃশ্বাস বা মুখে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবে যদি গন্ধ আসে তাহলে কিটোন পরীক্ষা করান এবং সেইমতো চিকিৎসা শুরু করুন। কিটোনের মাত্রা বাড়লে সেখান থেকে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা অনেক খানি বেড়ে যায়। এছাড়াও ডায়াবেটিসের আরও যা কিছু লক্ষণ থাকে-
অতিরিক্ত তেষ্টা পাওয়া মুখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া বার বার বাথরুমে যাওয়া পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া ক্লান্তি পেটে ব্যথা মাথাব্যথা হঠাৎ হঠাৎ গরম লাগা
আর তাই প্রথমেই যা করতে হবে তা হল কিটোনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা। যদি দেখেন যে রক্তে কিটোনের মাত্রা বেশি থাকে তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যান। উচ্চ রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একটি ফ্লুইড দেওয়া হয়। ইলেকট্রোলাইট বাড়াতে ইনসুলিন ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ডায়াবেটিক কেটোঅ্যাসিডোসিসের জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।