Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভাতের সঙ্গে পাঁচমিশালি সবজির তরকারি নাকি মাছের ঝাল? কোন ধরনের খাবার বেশি উপযোগী?

Healthy Diet: ভারতের মতে দেশে নিরামিষ খাবারের চলই বেশি। তবে, বাঙালিরা মাছ ছাড়া থাকতে পারে। তার সঙ্গে খাসির মাংসের ঝোল, মুরগির মাংসের কষাও থাকে। কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোন ধরনের খাবার বেশি জরুরি? পাঁচমিশালি সবজির তরকারি নাকি মাছের ঝাল? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ভাতের সঙ্গে পাঁচমিশালি সবজির তরকারি নাকি মাছের ঝাল? কোন ধরনের খাবার বেশি উপযোগী?
Follow Us:
| Updated on: Jan 13, 2024 | 11:01 AM

ভেজ নাকি নন-ভেজ, এই দ্ব‌ন্ধ চলতেই থাকে। কারও মতে, নিরামিষ খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আবার কারও মনে হয়, মাছ-মাংস না খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়। ভারতের মতে দেশে নিরামিষ খাবারের চলই বেশি। তবে, বাঙালিরা মাছ ছাড়া থাকতে পারে। তার সঙ্গে খাসির মাংসের ঝোল, মুরগির মাংসের কষাও থাকে। কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোন ধরনের খাবার বেশি জরুরি? পাঁচমিশালি সবজির তরকারি নাকি মাছের ঝাল? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আমিষ খাবারে প্রোটিনে ভরপুর

মাছ হোক বা চিকেন কিংবা মাটন, আমিষ খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন দেহে একাধিক প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড প্রদান করে। এগুলো পেশির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সামগ্রিক দেহের কোষ মেরামত করতে সাহায্য করে। চিকেনের মতো খাবারে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি১২ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এসব পুষ্টিগুলো মেটাবলিজম বাড়াতে, জ্ঞানীয় স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং কার্ডি‌ওভাসকুলার স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এমনকি এই প্রাণীজ খাবারে প্রোটিন ও ফ্যাটি পাওয়া যায়, যা ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমায় এবং ওজনকে বশে রাখতে সাহায্য করে।

আবার আমিষ খাবার হিসেবে বাঙালিদের মধ্যে মাটন খাওয়ার চলও রয়েছে। রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে উচ্চ পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল রয়েছে। অর্থাৎ, যত বেশি আপনি মাটনের তৈরি পদ খাবেন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়বে। তাই মাটন বাদ দিয়ে আপনি মাছ (বিশেষত সামুদ্রিক মাছ), চিকেন খেতে পারেন।

নিরামিষ খাবারের কদর বেশি যে কারণে

ফল, শাকসবজি, দানাশস্যের কদর সবসময় বেশি। ডাল হোক বা ব্রাউন রাইস কিংবা পালং শাক, পুঁই শাক, এসব খাবারে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেলের পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো হজম স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং অক্সিডেটিভ চাপের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। এই উপায়ে নিরামিষ খাবার সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।

নিরামিষ খাবার খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ ফল ও শাকসবজিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ খাবার রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া সবজি দিয়ে তৈরি খাবারে ক্যালোরি থাকে না, তাই ওজন বেড়ে যাওয়ারও ভয় নেই। ওবেসিটি সম্পর্কিত অবস্থার ঝুঁকি কমাতে নিরামিষ খাবার খাওয়াই ভাল। নিরামিষ খাবারেও ভিটামিন বি১২, আয়রন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও পাওয়া যায়। কিন্তু কোন আমিষ খাবার নাকি নিরামিষ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ব্যালেন্স ডায়েট

দেখতে গেলে আমিষ ও নিরামিষ দু’ধরনের খাবারেই পুষ্টি রয়েছে। তাই সম্পূর্ণরূপে আমিষ খাবার বাদ দিয়ে দেবেন কিংবা শাকসবজি একদম খাবেন না, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই চেষ্টা করুন, ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলার। অর্থাৎ, আপনার খাবারের পাতে সবজির তরকারি, মাছের ঝাল দুটোই রাখতে হবে। মাংস হিসেবে চিকেন খান। কিন্তু মাটন এড়িয়ে চলুন। নিরামিষ খাবার হিসেবে আপনি সব ধরনের শাকসবজি, ফল, ডাল, ওটস, ডালিয়া, গরমের আটা ইত্যাদি খেতে পারেন। এছাড়া আপনার শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করছে যে আপনি কী খাবেন এবং কতটা পরিমাণে খাবেন। এক্ষেত্রে আপনি পুষ্টিবিদ বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন।