National Nutrition Week 2022: কেন জরুরি ব্যালান্সড ডায়েট, ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ’-এ যা পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদ
Balanced Diet: সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ব্যালেন্স ডায়েট কতটা জরুরি এই প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে-র সঙ্গে।
সুস্থ থাকার জন্য সুষম আহার ভীষণ জরুরি। কারণ পুষ্টির অভাবে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঠিক ওজন বজায় রাখা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগ এড়ানোর জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি। প্রতি বছর ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালন করা হয় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। মানুষের মধ্যে শরীরে পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাই এই জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের মূল উদ্দেশ্য।
যখনই ডায়েটের প্রসঙ্গ আসে. তখনই খাদ্যতালিকা থেকে কোনও না-কোনও পুষ্টি বাদ পড়ে যায়। ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করলে পুরোপুরি ফ্যাট বাদ দিয়ে দেন অনেকেই। এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ব্যালেন্স ডায়েট কতটা জরুরি এই প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে-র সঙ্গে।
অরিজিৎ বলেন, “ব্যালান্সড ডায়েট অত্যন্ত জরুরি। আমরা যখন কোনও ডায়েট চার্ট তৈরি করি, তাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের একটা সঠিক অনুপাত থাকে। এই অনুপাতটা ব্যক্তিবিশেষে নির্ভর করে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যে ডায়েট চার্ট তৈরি করা হয়, সেখানে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের পরিমাণ কম দেওয়া হয়। কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করা হয় না।”
ওজন কমানোর পাশাপাশি ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এই ব্যালান্সড ডায়েট একইভাবে জরুরি। পুষ্টিবিদের কথায়, “ওজন বৃদ্ধির জন্য যখন ডায়েট চার্ট তৈরি করা হয়, তখন তাতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের পরিমাণ একটু বেশি রাখা হয়। আবার যখন কোনও কিডনির রোগীর ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হয় তখন লো-প্রোটিন, কম কার্বোহাইড্রেট এগুলোর উপর জোর দিতে হয়।”
অরিজিৎ বলেন, “পুষ্টির নিরিখে খাবারের চরিত্রকে মূলত দু’ভাগে ভাগ করা হয়: ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টস এবং মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস। শরীরে যে শুধু প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের প্রয়োজন রয়েছে, তা নয়। শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ করাটাও ভীষণভাবে জরুরি। আর এই কাজটাই করে ব্যালান্সড ডায়েট।”
ব্যালান্সড ডায়েটে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের পাশাপাশি এমন খাবারগুলোকে রাখা হয় যার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ হবে। পুষ্টিবিদের কথায়, “ব্যালেন্স ডায়েটে আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ই, বি, সি-সমৃদ্ধ সব ধরনের খাবার থাকে।” অরিজিৎ বলেন, “যদি ডায়েটে আয়রনযুক্ত খাবার না থাকে, তাহলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি বাড়বে। যদি ক্যালশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার না থাকে, তাহলে শরীরে এর ঘাটতি দেখা দেবে। সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ঘাটতি শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।” এই ধরনের পুষ্টি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ডায়েটে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট সঠিক পরিমাণে রাখা দরকার। কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া একেবারেই উচিত নয়।