High Cholesterol: কোলেস্টেরলের জন্য হার্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে? ব্রেকফাস্টে এক বাটি ওটস ও আপেল খান

Fiber Rich Food: শরীরকে ফিট রাখতে গেলে আপনাকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে হবে এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে হবে। আর এক্ষেত্রে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে।

High Cholesterol: কোলেস্টেরলের জন্য হার্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে? ব্রেকফাস্টে এক বাটি ওটস ও আপেল খান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 12, 2023 | 8:00 AM

কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন ঘরে-ঘরে। আর এখান থেকেই বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি। এখন মানুষ কম বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এটা খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, শরীরচর্চায় অনীহা থেকেই তৈরি হচ্ছে। রক্তে একবার এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও তৈরি হয়। তার সঙ্গে রক্তচাপ, স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বাড়ে। মানুষের মধ্যে ধারণা রয়েছে, যে বয়স বাড়লে কোলেস্টেরলের সমস্যাও বাড়ে। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ নজর দিলে এই সমস্যা আপনার ধারের কাছে ঘেঁষবে না।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট আর ট্রান্স ফ্যাট বেশি পরিমাণে খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। যত বেশি পরিমাণে ঘি, মাখন, ফুল ফ্যাট দুধ, আইসক্রিম খাবেন, ততই শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বাড়বে। একইভাবে, রেড মিট খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে ভাজাভুজি খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি আপনাকে কার্বোহাইড্রে, হাই ক্যালোরি যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কিন্তু কোলেস্টেরল বাড়ার ভয়ে সব খাবারকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া যাবে না।

কোলেস্টেরল আদতে মোম জাতীয় পদার্থ। এটি আমাদের শরীরের প্রতিটা কোষে পাওয়া যায়। লিভার থেকে কোলেস্টেরল তৈরি হয়। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। কিন্তু কোলেস্টেরলকে খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া যায় না। কারণ রক্তের সঙ্গে মিশে থাকা কোলেস্টেরল হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। যদিও এর জন্য ভাল কোলেস্টেরল বেশি প্রয়োজন। অর্থাৎ শরীরকে ফিট রাখতে গেলে আপনাকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে হবে এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে হবে।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে হলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। শরীরে ফাইবারের পরিমাণ বাড়লে এটি শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এটাই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই ব্রেকফাস্টে একবাটি করে ওটমিল আর একটা করে আপেল খেলে উপকার পাবেন। এই দুই খাবারের মধ্যেই ফাইবার রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

যে কোনও গোটা শস্যে ফাইবার থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একইভাবে, তাজা শাকসবজি ও ফল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, তেল ছাড়া রান্না করা সম্ভব নয়। কিন্তু অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বেই। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। এই তেলে স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না।

খাদ্যতালিকা বিশেষ নজর দেওয়া পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। অলস জীবনযাপন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। একইসঙ্গে মদ্যপান ও ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। এখান থেকেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। এছাড়া বয়স বাড়লে ৬ মাস ছাড়া লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভাল। এতে আপনি হৃদরোগের ঝুঁকিও এড়াতে পারবেন।