Coronavirus: এই উপসর্গগুলি রয়েছে? অজান্তে ওমিক্রনে আক্রান্ত হননি তো…

ওমিক্রন আর ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ একই রকম হওয়ায় অনেকেই বুঝতে পারছেন না যে তাঁরা কোভিডে আক্রান্ত কিনা। বেশির ভাগের মধ্যেই রয়েছে পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা

Coronavirus: এই উপসর্গগুলি রয়েছে? অজান্তে ওমিক্রনে আক্রান্ত হননি তো...
ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে এই সব সমস্যা রয়েই যায় শরীরে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 8:29 PM

ওমিক্রনের ( Omicron) রোগ-লক্ষণে তীব্রতা নেই কিন্তু তা অত্যন্ত সংক্রামক( Infection rate)। বিশ্ব জুড়েই সুনামির আকারে আছড়ে পড়েছে ওমিক্রন। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ভাইরাস মূলত প্রভাব ফেলে আমাদের শ্বাসযন্ত্রে। তবে ওমিক্রনের প্রভাব এবার সরাসরি ফুসফুসের উপর পড়ছে না কিংবা ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছে না। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা গিয়েছে এমনটাও কিন্তু নয়। তবে বেশিরভাগ আক্রান্তের ক্ষেত্রেই গলাতে (Respiratory Failure)সমস্যা হয়েছে। গলা ব্যথা, গলা খুশখুশ, কাশি, হাঁচি এসবই ছিল প্রধান উপসর্গ। তবে সকলেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কাউকেই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়েনি।

তবে ওমিক্রন আর সাধারণ ফ্লু এর মধ্যে তেমন কোনও ফারাক না থাকায় অনেকেই বুঝতে পারছেন না যে তিনি আদৌ কিসে আক্রান্ত। সাধারণ সর্দির সমস্যা বলে বেশিরভাগই পরীক্ষা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে কিন্তু বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা। আর যে কারণে এত বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ওমিক্রনে। কোভিডে আক্রান্ত কিনা তা বোঝার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ হল RT-PCR পরীক্ষা। কিন্তু বেশিরভাগই সেই পরীক্ষা বাদ দিয়ে Rapid Antigen পরীক্ষা করাচ্ছেন। এবার এই পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে অনেকক্ষেত্রেই। তবে অতীতে আপনি যদি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং পরীক্ষা এড়িয়ে যান তাহলে তা কিন্তু সহজেই ধরা পড়বে এই কয়েকটি লক্ষণে।

গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং শরীরের ব্যথা কিন্তু হতে পারে ওমিক্রম সংক্রমণের লক্ষণ। বিশেষজ্ঞরা এও বলেছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু কম। সুতরাং আপনার যদি সর্দি-কাশির সমস্যা হয় এবং সেখান থেকে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে কিন্তু সাবধান। বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, ওমিক্রনে পেটের সমস্যাও হচ্ছে। এছাড়াও বমি বমি ভাব, খেতে ইচ্ছে না করা, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যাও ছিল। এছাড়াও কোভিড থেকে ভুগে ওঠার পর চুলে পড়ে যাওয়ার ,সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। অনেকের ক্ষেত্রে এই প্রভাব কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক চাপ, ওষুধ এবং করোনার সঙ্গে লড়াই-এসবই এর জন্য কিন্তু দায়ী।

আর তাই যদি কেউ এই অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় বা অ্যালোপেসিয়ার সমস্যায় ভোগেন তাহলে কিন্তু ধরে নিতে হবে তিনি কোনও এক সময়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু কোভিডের পরীক্ষা করানো হয় নি বলে তা ধরা পড়েনি। এছাড়াও পায়ের ত্বক শুকনো হয়ে যাওয়া, পায়ে ফুসকুড়ির মতো সমস্যা, পায়ের আঙুলে সমস্যা এসব কিন্তু কোভিডের জন্যই দায়ী। যে কারণে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা এবং ভিড় এড়িয়ে চলা কিন্তু আবশ্যক।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।