AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Coronavirus in animals: হরিণরাও আক্রান্ত হচ্ছে ওমিক্রনে! বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা…

আমেরিকার বেশ কিছু হরিণদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে ওমিক্রনের ভাইরাস। মূলত মানুষদের থেকেই আক্রান্ত তারা এমনটাই কিন্তু মনে করা হচ্ছে

Coronavirus in animals: হরিণরাও আক্রান্ত হচ্ছে ওমিক্রনে! বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা...
হরিণরাও আক্রান্ত হচ্ছে ওমিক্রনে
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2022 | 8:50 PM
Share

হরিণরাও আক্রান্ত হচ্ছে ওমিক্রনে! সম্প্রতি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই। স্টেটেন দ্বীপে সাদা হরিণদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্ট। আর হরিণদের মধ্যেও কিন্তু তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ওই সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে সাদা লেজযুক্ত হরিণদের মধ্যেই ভাইরাসের প্রকোপ কিন্তু সবচেয়ে বেশি। যার ফলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এই হরিণগুলি মানুষের খুব কাছাকাছি থাকে। আর সেখান থেকেই সংক্রমিত হচ্ছে এই হরিণরা। ফলে হরিণের শরীরে ওমিক্রনের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে কিন্তু দায়ী মানুষই। যদিও গবেষকরা এর আগেও বলেছেন ২০২০-তেও কিন্তু কোভিডের সংক্রমণ দেকা গিয়েছিল পশুদের শরীরে। সেই সময় আইওয়াতে সবচেয়ে বেশি হরিণ সংক্রমিত হয়েছিল।

আমেরিকায় ইলিয়ন, কানসাস, ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা, নিউ জার্সি-সহ ১৩ টি রাজ্যে দেখা দিয়েছে হরিণদের দেহে এই সংক্রমণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মূলত মানুষদের থেকেই হরিণরা ওমিক্রনে সংক্রমিত হচ্ছে আর সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য পশুদের মধ্যেও। তবে হরিণদের মধ্যে থেকে আবার মানুষের দেহে এই ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে এরকম কিন্তু কোনও সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। কিন্তু হরিণদের মধ্যে যদি এই ভাইরাস দীর্ঘদিন থেকে যায় তাহলে সেখান থেকেও মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন ভাইরাস তৈরি হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর যা কিন্তু পরবর্তীতে মানুষ বা অন্য কোনও প্রজাতির মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

স্টেটেন আইল্যান্ডে এই মুহূর্তে যে সব গবেষকরা রয়েছেন, তাঁরা কিন্তু বলছেন হরিণের দেহ থেকে এই ভাইরাস মিউটেশনের মাধ্যমে যে কোনও মুহূর্তে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু হরিণের শরীরেও উচ্চ স্তরের যে সব অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে তাই দেখে গবেষকদের অনুমান, এর আগেও হয়তো তারা আক্রান্ত হয়েছিল কোভিডে। শুধু তাই নয়, হরিণদের মধ্যেও কিন্তু থেকে যাচ্ছে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি। তবে ওমিক্রণের প্রভাবে প্রচুর হরিণের মৃত্যু হয়েছে, সংখ্যায় কমে গিয়েছে এমনটা কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩১ টি হরিণের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই সঙ্গে এদের সোয়াবও পরীক্ষা করা হয়। আর তাতেই দেখা গিয়েছে ১৫ শতাংশ হরিণের শরীরে আগে থেকেই কোভিডের অ্যান্টিবডি ছিল। এছাড়াও ৬৮ টি হরিণের সোয়াব পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে তারা কোভিড পজিটিভ। যে সব হরিণের সোয়াব পরীক্ষা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ৭ জনের নমুনাতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশনের ইঙ্গিত ছিল।

গবেষকরা এরকম প্রশ্নও তুলেছেন যে সব হরিণ ওমিক্রনে আক্রান্ত হল তাহলে কি তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ল, বা তাদের শরীরে যে সব অ্যান্টিবডি তৈরি হল তা কোভিড প্রতিরোধে কতখানি সক্ষম। এই সব প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর এখনও নেই চিকিৎসকদের কাছে।