Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

New Study: ৭ দিনে মাত্র ৩০ মিনিট কথা বলা উচিত? গবেষণায় উঠে এল ব্লাড প্রেশারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের সম্পর্কের তথ্য

Mobile Phone And Hypertension: যাঁদের বংশগত ইতিহাসে হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ ঝুঁকি থাকে উচ্চ রক্তচাপের। সপ্তাহে ৩০ মিনিট কথা বলাই শরীরের জন্য সবচেয়ে ভাল বলে দাবি গবেষকদের

New Study: ৭ দিনে মাত্র ৩০ মিনিট কথা বলা উচিত? গবেষণায় উঠে এল ব্লাড প্রেশারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের সম্পর্কের তথ্য
বেশি ফোন ব্যবহারের বিপদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 12, 2023 | 9:00 AM

কখন তোমার আসবে টেলিফোন?’—গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ‘কাল্ট’ গানের সূত্র ধরে ‘আশায়-আশায় বসে’ থাকার কোনও অর্থ নেই ডিজিটাল পৃথিবীতে (Digital World)। আপনি, আমি চাই বা না-চাই, টেলিফোন আসবেই। এবং শুধু আসবে (অথবা যাবে) না, ২৪X৭ কানেক্টিভিটির দুনিয়ায় বিরক্তও করে তুলবে একটা সময়ের পর। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর স্মার্টফোনের (Smartphone) স্ক্রিনে আবার ইনকামিং কল (Incoming Call) দেখার পর যেন মন বলে ওঠে, ‘উফ… আবার?’ কাজের প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন এখন বিনোদনেরও অন্যতম অবলম্বন। ফোন ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও চলে না। অনেকে বাথরুমে গেলেও সেখানে ফোন নিয়ে যান। এক মুহূর্তের জন্যও ফোন কাছছাড়া করেন না। সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তা রীতিমতো দুশ্চিন্তার। কী বলছে সেই গবেষণা?

চিনের গুয়াংঝুতে সাদার্ন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, সপ্তাহে ৩০ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে ফোনে কথা বললে বাড়বে রক্তচাপ (Blood Sugar)-এর মাত্রা। সমীক্ষা করা হয়েছে যাঁদের উপর, তাঁদের ১২ শতাংশের ক্ষেত্রেই এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। বয়স ১০ পেরোতে না পেরোতেই শিশুদের হাতে চলে আসছে মোবাইল। তথ্য বলছে, পৃথিবীর মোট বাসিন্দাদের তিন-চতুর্থাংশের বয়স ১০ এবং তাদের প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে মোবাইল ফোন। মোবাইল থেকে খুব নিম্ন স্তরের রেডিওফ্রিকোয়েন্সি নির্গত হয়। খুব অল্প ক্ষণের জন্য ব্যবহার করলেও অর্থাৎ short-term exposure হলেও তা পরবর্তীতে রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্বজুড়ে অকালমৃত্যুর (premature death) অন্যতম কারণও এই স্ট্রোক বা হার্ট ফেইলিওর।

চিনের গুয়াংঝুতে সাদার্ন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষক জিয়ানহুই কিন যুক্ত ছিলেন এই গবেষণার সঙ্গে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মানুষ যত বেশি মোবাইল ব্যবহার করবেন, ততই বাড়বে হৃদরোগের ঝুঁকি। অর্থাৎ কথা বলার মিনিট বাড়লেই বাড়বে সমস্যা। যদিও বিষয়টি নিয়ে আরও গভীর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কিন। ইউরোপীয় হার্ট জার্নাল Digital Health-এ এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে। মোবাইলে কথা বলার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কতখানি যুক্ত, তা দেখতেই ৩৭ থেকে ৭৩ বছর বয়সী মোট ২,১২,০৪৬ প্রাপ্তবয়স্কর উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়।

এঁদের কারওই প্রাথমিকভাবে ব্লাড প্রেসারের সমস্যা ছিল না। এঁরা সকলেই ১২ বছর ধরে টাচস্ক্রিন ফোন ব্যবহার করেছেন। সেই সঙ্গে কতক্ষণ ফোন স্পিকারে রেখে কথা বলেছেন, আর কতক্ষণ হ্যান্ডস-ফ্রি ডিভাইস ব্যবহার করেছেন, সেই সব সময়সীমাই ধরা হয়েছে উক্ত গবেষণায়। ১২ বছরের অভ্যাসের পর এই ২,১২,০৪৬-এর মধ্যে ৭ শতাংশের ক্ষেত্রে যা দেখা গিয়েছে, তাতে চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়। দেখা গিয়েছে, ওই ৭ শতাংশের মধ্যে বেড়েছে রক্তচাপের সমস্যা। এই ৭ শতাংশ বা আরও খুঁটিয়ে বললে মোট ১৩ হাজার ৯৮৪ জন সর্বক্ষণ কানে মোবাইল দিয়ে কথা বলে গিয়েছেন।

কী-কী তথ্য উঠে এল এই গবেষণায়?

৩০-৫৯ মিনিট কথা বললে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে ৮ শতাংশ ১-৩ ঘণ্টা কথা বললে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে ১৩ শতাংশ ৪-৬ ঘণ্টা কথা বললে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে ১৬ শতাংশ সপ্তাহে ৬ ঘণ্টার বেশি মোবাইলে কথা বললে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে ২৫ শতাংশ যাঁরা স্পিকারে বেশি সময় কথা বলেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি কিছুটা কম।

আবার জেনেটিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, যাঁদের বংশগত ইতিহাসে হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ ঝুঁকি থাকে উচ্চ রক্তচাপের। সপ্তাহে ৩০ মিনিট কথা বলাই শরীরের জন্য সবচেয়ে ভাল বলে দাবি গবেষকদের। মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কতটা, তা আরও বিশদে জানতে গভীর গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হৃদরোগ, স্ট্রোক এড়াতে মোবাইলের ব্যবহার যতটা কমানো যায়, ততই ভাল—আপাতত বক্তব্য এটুকুই।