Stomach Cooling Fruits: গরমে পেট ঠান্ডা করতে পাতে রাখুন কাঁঠাল, আর কী খাবেন? জানুন
Summer Fruits: সারাবছরই সুস্থ থাকতে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। গরমে অন্য়ান্য খাবারে যখন অরুচি সেইসময় শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে খান ফল। তবে গরমকালে এমন কিছু ফল বেছে নিতে হবে যা পেট ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করবে।
তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলা। গরমে (Summer) জ্বালায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শরীর। বাচ্চা থেকে বুড়ো, গরমে কষ্ট পাচ্ছেন কমবেশি সকলেই। এই গরমে খাওয়া-দাওয়াতেও (Eating Foods) দেখা দিচ্ছে অনীহা। একটু কিছু খেলেই দেখা দিচ্ছে হজমের (Digestion) সমস্যা, পেট ভারের মতো সমস্যা। তবে পেট ফাঁকা রাখলেও চলবে না। এই সময় এমন কিছু খেতে হবে যা শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি পেটও ঠান্ডা রাখবে।
সারাবছরই সুস্থ থাকতে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। গরমে অন্য়ান্য খাবারে যখন অরুচি সেইসময় শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে খান ফল। তবে গরমকালে এমন কিছু ফল বেছে নিতে হবে যা পেট ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই তালিকায় রয়েছে কোন-কোন ফল।
তরমুজ: গরম মানেই তরমুজ। লাল-লাল সুন্দর তরমুজের চাহিদা এই সময় তুঙ্গে। তরমুজ পেট ও শরীর দুই-ই ঠান্ডা রাখে। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য় করে। এছাড়াও তরমুজে উপস্থিত লাউকোপেন সূর্যের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তরমুজে ফাইবার রয়েছে যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে।
কাঁঠাল: গরমকালে মিষ্টি কাঁঠালের কদর অনেক। অনেকেরই প্রিয় ফল এই কাঁঠাল। কেউ-কেউ আবার গন্ধের জন্য অপছন্দ করেন কাঁঠাল। তাই গরম পড়লেই কাঁঠালের চাহিদা থাকে ঊর্ধ্বমুখী। তবে শুধু স্বাদ নয়, বরং শরীর সুস্থ রাখার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাঁঠাল খেলে দেহ ঠান্ডা থাকে। শুধু তাই নয়, হজম প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে কাঁঠাল। এতে আছে ভিটামিন সি সহ একাধিক ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে যা ইমিউনিটিও বাড়াতেও সাহায্য করে।
শসা: সাধ্যের মধ্যে পুষ্টিকর ফল হল শসা। সারাবছরই দেখা মেলে এই ফলের। পুজোর প্রসাদ হোক কিংবা স্যালাড সবেতেই খুঁজে পাওয়া যায় শসাকে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, ৩৬৫ দিনই এই ফল খেতে পারেন। মনে রাখবেন, গরমে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। এতে রয়েছে জলের ভাণ্ডার। তাই শসা খেলে দেহে জলের ঘাটতি মেটে। এছাড়া শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা পেটের সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত শসা খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো পেটের সমস্যাও কমে। পেট ঠান্ডা থাকে। শুধু তাই নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণের সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে শসার।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।