AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Male Fertility: এই সব খারাপ অভ্যাসই কমাচ্ছে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা! বাধা হতে পারে পিতৃত্বে…

Man’s reproductive health: অতিরিক্ত পরিমাণ ফাস্টফুড খাওয়া, রোজ রোজ মদ্যপান, ধূমপান, স্ট্রেস এসব কমিয়ে দিতে পারে পুরুষদের যৌনক্ষমতা। নিয়মিত ভাবে কোনও ড্রাগ নিলে সেই প্রভাবও কিন্তু পড়ে স্বাস্থ্যে

Male Fertility: এই সব খারাপ অভ্যাসই কমাচ্ছে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা! বাধা  হতে পারে পিতৃত্বে...
ছেলেরা শুনছেন...
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2022 | 6:37 AM
Share

আজকাল ছেলেদের যত সমস্যা শুরু হচ্ছে ৩০-এ এসেই। ৩০-মানেই বিয়ের চাপ, কাজের চাপ প্রমোশন, কখনও প্রেমিকা ছেড়ে যাচ্ছে তো কখনও বউ-এর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না। আবার যাঁদের বছর দুই বিয়ে হয়ে গিয়েছে তাঁদের উপর রয়েছে ‘বাবা’ হওয়ার চাপ। তবে গবেষকরা বলছেন ছেলেরা যদি ৩০ থেকে সচেতন না হন তাহলে আর বাবা হতে পারবেন না। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বয়স ৪০-এ পৌঁছলে ছেলেদের মধ্যে আর বাবা হওয়ার সেই ক্ষমতা থাকে না। সেই সঙ্গে কমছে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যাও। যা বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে পিতৃত্বের পথে। গবেষণায় এরকমও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, যে সব দম্পতি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০ শাংশ ক্ষেত্রে দায়ী কিন্তু পুরুষরাই। এর অবশ্য অনেক কারণও রয়েছে. প্রথম থেকেই কিছু পুরুষ নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু তা তাঁরা নিজেরাও জানতে পারেন না। এছাড়াও পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হিসেবে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুরাটের ক্রিস্টা আইভিএফের তরফে সিনিয়র আইভিএফ বিশেষজ্ঞ শ্বেতা প্যাটেল যেমন জানাচ্ছেন, গত ১০ বছরে পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা জটিল হয়েছে। প্রতি ৪ জন পুরুষের মধ্যে ১ জনের শুক্রাণুর সংখ্যা কমছে। যে কারণে দম্পতিদের সন্তান ধারণে বাড়ছে জটিলতা। ওবেসিটি, বেশি পরিমাণে ফ্যাট খাবার খাওয়া, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপে বসে কাজ, মানসিক চাপ, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ইত্যাদি কিন্তু শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। আর এর জন্য যে বিশেষ কারণগুলিতে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা- ডায়াবেটিস থেকে কোলেস্টেরল সব সমস্যার জন্যই প্রধান আসামী হল জীবনযাত্রা. জীবনযাত্রার কারণেই বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব। আর তাই রোজ নিয়ম করে ৩০ মিনিট ওয়ার্ক আউট করতেই হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তবে বাড়বে স্ট্যামিনা, যৌনইচ্ছে। সেই সঙ্গে যৌনজীবনও হবে আরামদায়ক।

ওষুধের প্রভাব- কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে নিজে থেকে জড়ি বুটি বা ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দ্বিধা না করে তাঁকে সমস্যার কথা খুলে বলুন। এই সব ওষুধের মধ্যে স্টেরয়েডের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। স্টেরয়েড আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়।  কমে যীয় যৌনক্ষমতা।

অতিরিক্ত পরিমাণ ফাস্ট ফুড খাওয়া- নিয়মিত ভাবে বেশি পরিমাণে ফাস্টফুড খেলে স্খান থেকেও আসতে পারে এই সমস্যা। বেশি ক্যালোরির খাবার খেলে ওজন বাড়বেই। আর ওজন বাড়লে শুধুই যে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায় তাই নয় বদলে যায় টেস্টিসের গঠনও।

অনিরাপদ যৌনতা- যৌন সংক্রমিত রোগও (STD) বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ। কন্ডোম ছাড়াই সঙ্গীর সঙ্গে নিয়মিত যৌন সম্পর্ক থাকলে সেখান থেকে ক্ল্যামাইডিয়া এবং গনোরিয়ার মতো যৌন সংক্রমিত রোগেরও সম্ভাবনা থেকে যায়। এতে শুক্রাণুর মান এবং গতিবিধি নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে সিফিলিস, জেনিটাল হারপিস, এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস বি- পুরুষদের যৌন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।