Visceral fat: ভুঁড়ি কমাতে এই কয়েকটি খাবারই যথেষ্ট, বলছে বিজ্ঞান
Belly fat: শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ কমে গেলেও কিছুতেই কমতে চায় না পেটের চর্বি। গলাতে অনেক সময় লেগে যায়। যে কারণে সময় এবং ধৈর্য দুই প্রয়োজন
ওজন কমানো কিন্তু মোটেই সহজ কাজ নয়। তার জন্য মানতে হয় বেশ কিছু নিয়ম। সেই সঙ্গে ধৈর্য রাখতে হবে। সকাল থেকে ডায়েট খাবার খেয়ে বিকেলে লোভে পড়ে চপ-শিঙাড়া খেলে কিন্তু ওজন মোটেই কমবে না। বরং ভুঁড়িতে জমবে আরও কয়েক স্তর পুরু চর্বি। মধ্যপ্রদেশ নিয়ে অস্বস্তি বরাবরের। আর এই মধ্যপ্রদেশই সকলকে বেকায়দায় ফেলে দেয়। সেই সঙ্গে এই ফ্যাট ( visceral fat) কিন্তু মোটেই শরীরের জন্য ভাল নয়। যাবতীয় রোগ-জ্বালার উৎস হল এই চর্বি। হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, স্ট্রোক, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি- সব কিছুর নেপথ্যেই থাকে ভুঁড়ি।
যে কারণে হঠাৎ বাড়তে থাকা উদর মোটেই কিন্তু শরীরের জন্য ভাল নয়। বরং অন্যান্য জটিল রোগ লক্ষণের প্রকাশ হল এই ভুড়ি। শরীরের অন্যান্য অংশের চর্বি যত তাড়াতাড়ি গলে যাক না কেন ভুঁড়ি কিন্তু কিছুতেই কমতে চায় না। বরং সবচেয়ে বেশি সময় লাগে এই চর্বি গলাতে। যে কারণে বিশেষ কিছু খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই কয়েকটি খাবার ( visceral fat) ভুঁড়ি কমামনোর জন্য কিন্তু একেবারেই আদর্শ।
প্রাথমিক শর্ত হিসেবে যা যা করতেই হবে
ক্যালোরির পরিমাণ কমাতে হবে। সেই সঙ্গে বাড়াতে হবে শরীরচর্চা। যাঁদের ক্ষেত্রে টানা এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয় তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা কিন্তু আরও জটিল। এ বিষয়ে তাঁদের প্রথম থেকেই সচেতন হতে হবে। বরং বেশি পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি এবং প্রোটিন খেতে হবে। যা আমাদের ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন বেশি পরিমানে লো ফ্যাট ইয়োগার্ট খান। বাড়িতে পাতা টকদই খান। নুন-চিনি ছাড়া। এতে উপকার পাবেন।
এক বাটি দই (২০০গ্রাম)-এর মধ্যে প্রোটিন থাকে ২৩ গ্রাম। প্রোটিনের মধ্যে থাকে বেশ কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস। যা অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। সেই সঙ্গে অন্যান্য বাজে খাবার খাওয়ার লোভ সংবরণ করায়। মেটাবলিজম বাড়ায়। দইয়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম এবং কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ। যা পেটের চর্বি গলানোর সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে হবে। এমন কিছু শরীরচর্চা করুন যাতে পেটের মেদ তাড়াতাড়ি ঝরবে। বেশি করে যোগাসন করুন। এছাড়া একটানা কোথাও বসে থাকবেন না। মাঝে মধ্যেই হাঁটাচলা করুন। অ্যালকোহল, সুগার একেবারেই কমিয়ে দিন। সেই সঙ্গে প্রোটিন খাওয়া বাড়িয়ে দিন। দিনের মধ্যে কিছুটা সময় নিয়ম করে হাঁটুন। আলুভাজা, আলু, চিনি, ময়দা, লুচি, পরোটা, বার্গার, চিপস- এসব খাবার জীবন থেকেই ছেঁটে ফেলুন। সবজি, ফল বেশি করে খান। দুপুরে পেট ভরান শসা, টমেটো, গাজর, পেঁয়াজের স্যালাড খেয়ে। প্রাউন রাইস খাওয়া অভ্যাস করুন। এই সব নিয়ম মেনে চলতে পারলেই আপনি থাকবেন সুস্থ।
আরও পড়ুন: Dry Ginger Water: আদা জল নয়, শীতে শরীর গরম রাখতে ভরসা রাখুন শুকনো আদার জলে! বলছে আয়ুর্বেদ