Heat Illness: দাবদাহের সঙ্গে বাড়ছে ভাইরাল, ডায়ারিয়ার প্রকোপ, সুস্থ থাকতে কী করবেন, রইল টিপস
Summer health problem: গরমকালে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে জল, পেট খারাপ হজমজনিত সমস্যা এসব তো থাকেই। গরমের খাবার যত বেশি সহজপাচ্য হয় ততই কিন্তু ভাল। নইলে হজম হতে দেরি হয়
গরম পড়তেই বাড়ছে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ। এছাড়াও হঠাৎ ঋতু পরিবর্তনের জন্য প্রতি বছরই এই সময় রোগ-জীবাণু সক্রিয় হয়ে ওঠে। হঠাৎ গরমে সমস্যা হয় সর্দি-গর্মিরও। যে কারণে এই সময় জ্বর-সর্দির সমস্যা বাড়ে ঘরে ঘরে। আর গরমে খাবার হজম করতেও বেশি সময় লাগে। অল্পেই পেটের সমস্যা হয়ে যায়। আর তাই ভাইরাল জ্বরের সঙ্গে ডায়ারিয়ার সমস্যাও থাকে। আর এই জ্বরের সমস্যার অন্যতম কারণ কিন্তু হল ঠান্ডা হল।গরমের দিনে বেশিরভাগই রোদ থেকে ফিরে সরাসরি ঠান্ডা কিছু খেয়ে ফেলেন। এতে যেমন হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে তেমনই কিন্তু ঠান্ডাও লেগে যায়। আর এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোনও খাবারই বেশিক্ষণ বাইরে ফেলে রাখবেন না। বাইরের কাটা ফল, জুস, জল এসবও কিন্তু এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তাঁরা। আর তাই রান্না করা খাবারও কিন্তু ৪ ঘন্টার বেশি ফেলে রাখবেন না।
কোভিডের প্রকোপ আগের থেকে কমলেও কিন্তু এখন পুরোপুরি যায়নি। ফলে সর্দি-কাশির এই সমস্যা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তাহলে কিন্তু ফেলে না রেখে অবশ্যি করোনার পরীক্ষা করাবেন। কারণ কোভিড আর সাধারণ ফ্লু এর উপস৪গের মধ্যে তেমন কোনও ফারাক নেই। তবে গাজিয়াবাদের এমএমজি হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ রাজপাল সিং যেমন দ্য টাইমস অফ ইন্ডিযার একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন জনিত কারণে এই সময়ে বাইরের তাপমাত্রার হেরফের শরীর সমান ভাবে মানিয়ে নিতে পারে না। যে কারণে সর্দি, জ্বর, হিট স্ট্রোকের মত সমস্যা লেগেই থাকে। তাই এই সময়টা সকলেই সাবধানে থাকতে হবে। গরমে বার বার জলতেষ্টা পায়। অনেকেই সেই তেষ্টা মেটাতে ভরসা করেন বাইরের জল, জুস, শরবত, শেকের মতো পানীয়ের। কেউ আবার এই গরমেও তেলে ভাজা খাবার, চাউমিন, কেটে রাখা ফল এবও খান। আর এই সব খাবার থেকে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীর অল্পেই খারাপ হয়ে যেতে পারে। যে কারণে এই সময় বাড়ে ডায়ারিয়ার সংখ্যা।
ডায়ারিয়ার সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে পেট ব্যথা, পেট ফোলা ভাব, বার বার বমি, ঘাম হওয়া, মাথা ঘোরানো, পেট খারাপের মত সমস্যা এসব তো থাকেই। সেই সঙ্গে মল দিয়ে রক্ত পড়া, মলের সঙ্গে শ্লেষ্মা এই সব সমস্যাো কিন্তু থাকে। আর এই সব সমস্যা এড়াতেই বিশেষ কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তা হল-
*প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। সারাদিনের মধ্যে অন্তত ৩-৪ লিটার জল খাওয়া বাধ্যতামূলক। ডাবের জল খান। বাইরে বেরোলে নুন-চিনির জল বানিয়ে নিয়ে যান। যে সব ফল জলের চাহিদা মেটাতে পারে সেই সব ফল খান।
*বাইরের কাটা ফল, খাবার এসব একেবারেই এড়িয়ে চলুন। বাসি খাবার খাবেন না। খাবার রান্না করার ৪ ঘন্টার মধ্যে খান। গরম খাবার কিন্তু একেবারেই নয়। খাবার জায়গা যাতে পরিষ্কার থাকে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করুন।
*এছাড়াও খাবার আগে বার বার হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।