Weight Loss: রোজা রাখছেন? এই কয়েকটা নিয়ম মানতে পারলে কিন্তু ওজনও কমবে…

Ramadan 2022: রোজা ভাঙার সময় অতিরিক্ত চিনি বা তেলেভাজা জাতীয় খাবার খাবেন না। হালকা খাবার খান। রোজা ভাঙার ২ ঘন্টা পর ডিনার করুন

Weight Loss: রোজা রাখছেন? এই কয়েকটা নিয়ম মানতে পারলে কিন্তু ওজনও কমবে...
উপোস ভেঙে ভারি খাবার প্রথমেই নয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2022 | 8:25 AM

চলছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই মাসে অনেকেই রোজা রাখেন। তবে সম সময় যে শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মসম্প্রদায়ের লোকেরাই রোজা রাখেন এমনটা কিন্তু নয়। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও রোজা রাখেন সংসারের সুখ-শান্তি কামনায়। আবার যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরাও কিন্তু নিয়ম করে রোজা রাখেন। তবে রোজার সময়ে ওজন বেড়ে যাওয়ার মত সম্ভাবনাও কিন্তু থাকে। যে কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন রোজা ভাঙার সময়ে হালকা কোনও খাবার খেতে। চর্বিযুক্ত খাবার একেবারেই এড়িয়ে যেতে বলেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা রমজান মাসে রোজা রাখেন পরবর্তীতে তাঁদের ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু এই সহজ টিপস মেনে চললে মোটেই ওজন বাড়বে না।

সারাদিন যেহেতু জল, খাবার খাওয়ার সুযোগ থাকে না তাই ক্লান্তি আসতেই পারে। এক্ষেত্রে সন্ধ্যায় চিনি দেওয়া জল খেলে শরীর হয়তো তাৎক্ষণিক শক্তি ফিরেব পায় কিন্তু সঙ্গে অলসতা ক্লান্তি যেন আরও বেড়ে যায়। আর এই সমস্যা কিন্তু সুগার বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ। চিনিতে ক্যালোরির পরিমাণও বেশি। আর খালি পেটে চিনি খেলে ওজন বাড়ে। তাই উপোস ভাঙতে নুন-চিনি-লেবুর শরবত বা ছাতুর শরবত খান।

অতিরিক্ত মিষ্টি, চিনি দেওয়া ডেজার্ট বা ভাজা খাবারের পরিবর্তে কিন্তু বেছে নিন সুষম খাবার। তেলে ভাজা কিংবা মিষ্টি খাবার খেলে যেমন শরীরের দফারফা হবে তেমনই ওজনও বাড়বে। যে কারণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে রাখার কথা বলা হয়। এছাড়াও শাকসবজি, ফল, জটিল কার্বোহাইড্রেট শরীরকে অনেকটা সময়ের জন্য পূর্ণ রাখে। যে খাবারে ক্যালোরি কম এবং যে খাবার স্বাস্থ্যকর তাই রাখুন ডায়েটে।

সন্ধ্যায় উপোস ভাঙার সময় হুটোপাটি করে সব খেয়ে নেবেন না। ধীরে ধীরে খান। ছোট ছোট মিলে খাবার ভাগ করে নিন। এতে খাবারের স্বাদ যেমন উপভোগ করতে পারবেন তেমনই কিন্তু শরীরও ভাল থাকবে। রোজা ভাঙার ১ থেকে ২ ঘন্টা পর রাতের খাবার খান। এতে তুলনায় কম ক্যালোরি খাওয়া হবে। রাতের ডিনারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সব মিলিয়ে মিশিয়ে রাখুন।

১২ ঘন্টা উপোসে থাকছেন। তার উপর গরম। তাই শরীরের জন্য জল অন্যন্ত জরুরি। নইলে ঐসবে ডিহাইড্রেশনের মত সমস্যা। দিনে ৪ লিটার জল খান। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বার করে দিতে কিন্তু এই জলের জুড়ি মেলা ভার।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Health Problem: হাই কোলেস্টেরল থেকে ডায়াবিটিস, চোখের এই লক্ষণই কিন্তু বলে দেবে আপনার কী হয়েছে…