Weight Gain Food: রোগা বলে হীনমন্যতায় ভোগেন, এই আর্য়ুবেদিক গাইড লাইন মেনে চললে বেড়ে যাবে ওজন!
Weight Gain Tips: ভাল ঘুম আর ভাল খাবার এই দুই কিন্তু ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীর ভাল লাগতে মন ভাল রাখা জরুরি। যাতে মানসিক চাপ কম থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন
আজকাল ওজন কমানোর দিকে যতটা ঝোঁক বা উৎসাহ থাকে তার সিকিভাগও থাকে না ওজন বাড়ানো নিয়ে। অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই ওজন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত। তবুও খাওয়া-দাওয়ায় কোনও খামতি নেই। এদিকে ইন্টারনেট জুড়ে হেলদি খাবার, ডায়েট চার্টের ছড়াছড়ি। কিছু মানুষ এরকমও আছেন যাঁরা সারাদিন গুগলে সারাদিন ওজন কমানোর টিপস সার্চ করেন। চেয়েও মোটা হতে পারছেন না এরকম হাপিত্যেশ করা লোকজন সংখ্যায় তুলনায় কম। ওজন বাড়ানোর জন্য বাজারে টনিক, ট্যাবলেট, সাপ্লিমেন্ট অনেক কিছুই পাওয়া যায়। তবে সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে সব সময় রোজকার জীবনযাত্রায় নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
আর্য়ুবেদের অনেক রকম উপকারিতা রয়েছে। প্রথমত, এর কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলে ওজন বাড়াতে পারবেন সহজেই। যাঁদের বাতের ব্যথা, কফ, সর্দি-কাশি এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা জনিত কারণে ওজন কম তাঁদের শরীরও কিন্তু ভাল থাকবে এই টেটকায়। সম্প্রতি আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার তাঁর ইন্সটাগ্রামে একটি সুন্দর পোস্ট করেছেন। সেখানেই তিনি আর্য়ুবেদ পদ্ধতিতে ওজন বাড়ানোর ৪ টে পদ্ধতির কথা বলেন।
ভাল ঘুম হওয়া খুব জরুরি- শরীর সুস্থ রাখতে গুমের জুড়ি মেলা ভার। রোজ তাই নিয়ম করে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম খুবই জরুরি। আর ঘুম যত ভাল হবে ততই কিন্তু খাবার বেশি ভাল হজম হবে।
মেটাবলিজম বাড়াতে হবে- মেটাবলিজম যত ভাল হবে শরীর কিন্তু তত বেশি সুস্থ থাকবে। মেটাবলিজম ভাল না হলে শরীরে একাধিক সমস্যা আসে। বিপাক ভাল না হলেই মানসিক চাপ, আইবিএস, ডায়াবেটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম, অটো-ইমিউনের মত রোগ হতে পারে। আর এই সব রোগ ব্যাধিই আমাদের ওজনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ডায়াবেটিস হলে ওজন কিন্তু কমে যায়। মোটেই বাড়ে না।
View this post on Instagram
ব্যায়াম- ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল ব্যায়ামও। ওয়েট ট্রেনিং, যোগা, জগিং, মর্নিং ওয়াক এসব আমাদের বিপাককে ভাল করে। বিপাক ভাল হলেই খাবার ভাল হজম হবে। খাবার হজম হলেই যাবতীয় শারীরিক সমস্যার সমাধান হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া- ওজন বাড়াতে হলে রোজ নিয়ম করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। একথা ভুল যে নিয়মিত বেশি করে ঘি. চকোলেট, চিজ খেলেই ওজন বেড়ে যাবে। নিয়মিত মাত্রাতিরিক্ত চিনিও কিন্তু ওজন কমিয়ে দিতে পারে। আর চিনি বেশি খেলে সেখান থেকে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়। কোলেস্চেরল বাডডলে শরীরে একাধিক সমস্যা আসে। ঘুমও ঠিকমতো হয় না। তাই ওজন বাড়াতেও নজর দিন স্বাস্থ্যকর খাবারে।
প্রোটিন- ঘি, দুধ, দই এবং বাড়িতে তৈরি দুগ্ধজাত খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এই সব খাবার শরীরকে পর্যাপ্ত প্রোটিন দেয়, পুষ্টি দেয়। আলু, মিষ্টি আলুর তৈরি নানা পদও খেতে পারেন। সঙ্গে মানসিক চাপ কম রাখচতে হবে। তবেই কিন্তু উপকার পাবেন। মানসিক চাপ কিন্তু ওজন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে শরীর তার পর্যাপ্ত পুষ্টি শোষণ করতে পারে না। ফলে সব সময় অলস আর দুর্বল লাগে। তাই মানসিক চাপের কারণে ওজন কমে যাওয়া কিন্তু মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।