Ayurvedic Tips: বাড়িতে একা, আবার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন! জরুরি অবস্থায় কী-কী করবেন, জানুন

High Blood Pressure: জীবনধারা পরিবর্তনগুলি উচ্চ রক্তচাপ নিয়মিত্রণ ও পরিচালনা করতে সাহায্য করে। হাইপারটেনশনের জন্য নিজে থেকে কোনওরকম ডাক্তারি করা এড়িয়ে চলুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেনে চলুন।

Ayurvedic Tips: বাড়িতে একা, আবার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন! জরুরি অবস্থায় কী-কী করবেন, জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2022 | 8:31 AM

উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure) একদিনে হয় না। দিনের পর দিন অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের (Unhealthy Lifestyle) ফলশ্রুতি হল হাইপারটেনশন (Hypertetion)। রক্তে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরলের উপস্থিতি হার্টের নানা আর্টারিকে অনমনীয় করে দেয় যা রক্তে এবং অন্যান্য অঙ্গে যথেষ্ট মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছনোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। হাইপারটেনশন মূলত লাইফস্টাইল ডিজিজ (Lifestyle Disease)। ফলে উচ্চ রক্তচাপ থাকার অর্থ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার আশঙ্কাও বেড়ে যাওয়া। উদাহরণ হিসেবে করোনারি আর্টারি ডিজিজ, স্ট্রোক, হার্ট ফেলিওর, আট্রিয়াল ফিব্রিলেশন, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, এবং ডিমেনশিয়ার কথা বলা যায়। তাই সুস্থ শরীরের জন্য আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ শরীরের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের একটি সহজ উপায় কিন্তু এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তাই সবাই এটিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য খুব উপযুক্ত বলে মনে করেন না। সঠিক খাবার সঠিক সময়ে গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা, ব্যায়াম রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে ও শক্তি জোগায়।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ

পরিবারের কেউ যজি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনুভব করেন বা তাঁর রক্চাপ খুব বেশি হয়, তাহলে বুঝবেন কীভাবে? উচ্চ রক্তচাপে আক্রাম্ত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যে যে লক্ষণগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল…

– নাক দিয়ে রক্ত পড়া

– দৃষ্টিশক্তি ও চোখের অন্যান্য সমস্যা

– অনিয়মিত হৃদস্পন্দন

– প্রস্রাব করার সময় রক্ত পড়া

বাড়িতে উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্‍সা

জীবনধারা পরিবর্তনগুলি উচ্চ রক্তচাপ নিয়মিত্রণ ও পরিচালনা করতে সাহায্য করে। হাইপারটেনশনের জন্য নিজে থেকে কোনওরকম ডাক্তারি করা এড়িয়ে চলুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেনে চলুন। রোগ নির্ণয় ও রোগের চিকিত্‍সার জন্য় চিকিত্‍সকরাই ভাল পরামর্শ দিতে পারবেন। তবে বাড়িতে যদি জরুরি অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সমস্যায় পড়েন, তাহলে সেই মুহূর্তে কী কী করবেন,জরুরি অবস্থা ঠেকাতে জীবনধারায় পরিবর্তনে কী কী করবেনে, তা জেনে রাখুন…

নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন

ধূমপান, অ্যালকোহল পান সীমিত পরিমাণে করলেও কখনও কখনও জীবনধারা পরিবর্তনে যথেষ্ট নয়। ডায়েট ও নিয়মিত ব্যায়াম না করলে রক্তচাপ কমানোর প্রচেষ্টাই বৃথা। যোগাসন, বালাসন, অন্যান্য ব্যায়াম যেমন সকাল-সন্ধ্যা হাঁটা, সাইকেল চালানো, প্রতিদিন আপনাকে রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। হৃত্‍পিণ্ডকে সুস্থ রাখতে ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য রোজ যোগা ও ব্যায়াম করা আবশ্যিক। সারাদিন স্বাভাবিকভাবে সক্রিয় থাকাও হৃদরোগ সংক্রান্ত যে কোনও গুরুতর রোগ থেকে মুক্তি পেতে অনেক সাহায্য করে।

অশ্বগন্ধা খাওয়া

চিকিত্‍সাক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা খাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ। যার জেরে রক্তে শর্করা, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রেস, উদ্বেগ ইত্যাদির অবসান ঘটে। উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এড়াতে, সম্পূর্ণভাবে উন্নত জীবনযাপনে সাহায্য করে এই ভেষজ উপাদানটি।

রসুন খান

রসুন হল রান্নাঘরের সাধারণ একটি উপাদান। প্রতিদিন সকালে মাত্র একটি করে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান, দেখবেন উচ্চ রক্তচাপ কমে গিয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় রসুনের গুণ অনেক।

আমলার রস

সকালে ১ গ্লাস আমলার রস পান করলে কয়েক দিনের মধ্যেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হ্রাস পেতে শুরু করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আমলার জুস পান করা নিয়ম করে ফেলুন।

জোয়ান

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য পুরণো আয়ুরবেদিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। সাধারণত ভারতীয়রা প্রতিটি খাবারের পর জোয়ান খান। এক চিমটে জোয়ান খুব সহজেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাগুলিকে কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।

মধু

২ চা চামচ মধু গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে প্রচিদিন খান। উচ্চ রক্তচাপের সব সমস্যাগুলি বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই উধাও হবে। উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্‍সায় খুব কার্যকর ফল পাওয়া যায়। র্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা কম রাখার পাশাপাশি হার্টের যত্ন নেওয়ার জন্যও মধু খুবই উপকারী।