Omicron Update In India: কোভিডের এই সামান্য ভুল থেকেই আসে পরবর্তী জটিলতা…

বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। সেই সঙ্গে সাধারণ ফ্লুতেও কাবু হয়ে পড়ছেন মানুষ। কিন্তু সাধারণ ফ্লু আর ওমিক্রনের মধ্যে তফাত বোঝা দায়। যে কারণে সতর্ক থাকবেন। সাধারণ জ্বর, সর্দিও এই সময় ফেলে রাখা ঠিক নয়...

Omicron Update In India: কোভিডের এই সামান্য ভুল থেকেই আসে পরবর্তী জটিলতা...
সাধারণ জ্বরও অবহেলা নয়...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2022 | 9:34 AM

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ অর্থাৎ ডেল্টায় কিন্তু প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। শারীরিক জটিলতা ছিল বেশি। সেই সঙ্গে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর কিন্তু একরকম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল ডেল্টা। যাঁরা কোভিডকে জয় করে ফিরে এসেছেন পরবর্তীতে তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল নানা রকম জটিলতা। হার্টের সমস্যা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, ডায়াবিটিসের সমস্যার পাশাপাশি অনেকেরই শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। যাঁর কোনওদিন হরমোন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা ছিল না তিনিও অদ্ভুত ভাবে সম্মুখীন হয়েছিলেন নানা সমস্যার।

বর্তমানে ওমিক্রন যে ভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে বেশ চিন্তাতেই রয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউ আসছে বা আসবে নয়, আমরা এখনই সেই অবস্থার মধ্যেই রয়েছি। বিষয়টি নিয়ে বার বার সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। ওমিক্রনের হদিশ প্রথম মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় নভেম্বরের শেষ দিকে। এরপর নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে রিপোর্ট যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে। আর তারপর মাত্র একমাসের মধ্যেই বিশ্বের প্রায় ৫৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে কোভিডের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট।

যদিও ওমিক্রনের সংক্রমণ তেমন তীব্র নয়। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক। ডেল্টার তুলনায় কয়েক গুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু রোগ-উপসর্গ এখনও পর্যন্ত হালকা। সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিংবা ফুসফুসে সংক্রমণ জনিত কোনও সমস্যার কথা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি। রোগ জটিলতা কম বলে অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হলে বিষয়টিকে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না। মেনে চলছেন না যাবতীয় কোভিড বিধি। সেই সঙ্গে অনেকেই কোভিডের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাও করাচ্ছেন না। আর এতেই কিন্তু বিপদ। সংক্রমণ হালকা হলেও বিষয়টিকে একেবারেই উড়িয়ে দেবেন না। তাই কিছু বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা। তবেই এড়ানো যাবে পরবর্তী সব জটিলতা। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এমনটাই।

যাঁরা টিকা নিয়েছেন, যাঁরা এর আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরাো কিন্তু আবারও আক্রান্ত হতে পারেন কোভিডে। অন্তত তেমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। এমনকী তাঁদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায় খানিকটা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোভিড টিকা নেওয়ার ৬ মাস থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে সবচেয়ে বেশি। টিকার জন্য যে সব অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে শরীরে তাদেরও ক্ষমতা কমতে থাকে ৬ মাস পর থেকে। তাই কোভিড বিধি মেনে চলতেই হবে।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখন ওমিক্রনের হালকা সংক্রমণ থাকার অর্থ এই নয় যে পরবর্তীতে জটিলতা আসতে পারে না। সাধারণ জ্বর, সর্দিকেও যে কারণে কিন্তু উপেক্ষা নয়। ডেল্টা-ওমিক্রনের জোড়া সংক্রমণে বেস কিছু মৃত্যুর খবর এসেছে। কিন্তু এঁদের কারোরই কোনও রকম কোভিডের টিকা নেওয়া ছিল না। মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, হালকা জ্বর, কাশি এসবই কিন্তু ওমিক্রনের লক্ষণ। এসব উপসর্দ তিনদিনের বেশি থাকলেই পরীক্ষা করান।

কোভিড কেস প্রতিদিনই যে হারে বাড়ছে সেখানে দাঁড়িয়ে শীতের সামান্য ঠান্ডা লাগা কিংবা ঠান্ডা লেগে গলায় সংক্রমণ হয়েছে এমনটা ভাববেন না। বরং পরীক্ষা করান। প্রয়োজনে আগে অ্যান্টিজেন টেস্ট করান। সেখানে পজিটিভ আসলে RT-PCR করতে কিন্তু দেরি করবেন না।

আরও পড়ুন: Coronavirus: ওমিক্রনের মৃদু সংক্রমণ হলেও কিন্তু থেকে যাচ্ছে দীর্ঘ রোগভোগের সম্ভাবনা! যা জানবেন…