Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Blood Clotting Sign: দ্রুত বদলে যাচ্ছে গায়ের চামড়ার রং? এখনই সাবধান হন, হতে পারে মৃত্যুও

What cause the blood clots: রক্ত জমাট বাঁধার অন্যতম কারণ হল ধূমপান এবং উচ্চরক্তচাপ। যা নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে...

Blood Clotting Sign: দ্রুত বদলে যাচ্ছে গায়ের চামড়ার রং? এখনই সাবধান হন, হতে পারে মৃত্যুও
এই লক্ষণগুলি দেখলে সতর্ক হোন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2022 | 8:06 PM

শরীরের জন্য রক্ত জমাট বাঁধা যেমন জরুরি তেমনই অতিরিক্ত রক্ত যদি শিরায় জমাট বেঁধে যায় তাও কিন্তু শরীরের জন্য মারাত্মক। হঠাৎ করে কোথাও কেটে গেলে সেখান থেকে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করাটাও জরুরি। কিন্তু সেই রক্ত যদি হঠাৎ হঠাৎ শরীরে জমাট বাঁধতে শুরু করে তাহলেই বিপত্তি। সেন্টারল ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে,প্রতি বছর অন্তত ১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে। ক্যানসার আক্রান্তদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হল এই শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। আপ তাই শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার এই কারণগুলি অবশ্যই জেনে রাখুন। কারণ অবহেলায় হতে পারে মৃত্যুও।

রক্ত জমাট বাঁধার অন্যতম কারণ হল ধূমপান এবং উচ্চরক্তচাপ। যা নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। অনেকের ক্ষেত্রে গুরুতর কোনও অসুখও হতে পারে এই শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণ। অনেকক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের মতো কিছু ওষুধও বাড়িয়ে দেয় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি। আর তাই ফুসফুসে রক্তজমাট বাঁধার আগে এই লক্ষণগুলি জেনে রাখলে সুবিধে হবে আপনারই।

রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ

রক্ত সাধারণত পায়ে জমা হয়। তখন পায়ের টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রক্ত জমাট বাঁধা বিশেষ কোনও সংকেত দেয় না। তবে মস্তিষ্কে যদি রক্তজমাট বাঁধতে শুরু করে তাহলে কিন্তু মুশকিল।

রক্তজমাট বাঁধার সমস্যা হলে প্রথমেইল যে উপসর্গ দেখা দেয় তাব হল শ্বাসকষ্ট। সামান্য কাজ করলেই হাঁপিয়ে যাওয়া, ক্লান্তি, ঘাম, শ্বাসকষ্ট, মাথাঘোরা এসব খুব সাধারণ লক্ষণ। সারাক্ষণ বিশ্রামের পরও যদি এই ক্লান্তি শরীরে থেকে যায় তাহলে সাবধান। হতে পারে বড় কোনও বিপদ।

শরীরে যদি ফোলাভাব থাকে বিশেষত পায়ে, সেই সঙ্গে পায়ের ত্বকের রং পরিবর্তন, তাপমাত্রার পরিবর্তনও এর জন্য দায়ী। শরীরে সব সময় যদি হালকা তাপমাত্রা থাকে তাহলে তা হল ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের লক্ষণ। সেই সঙ্গে ত্বকের গভীরে যদি কোনও ক্ষত হয় সেই সঙ্গে শরীরের কোষে রক্ত পৌঁছতে যদি অসুবিধে হয় তাহলে আগে থাকতেই সাবধান। যদি শরীরের নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় ফোলাভাব থাকে এবং সেই জায়গাটি গরম থাকে তাহলে যতদ্রুত সম্ভব চেক-আপ করান।

অনেক সময় শরীরের ডিটক্সিফিকেশন না হলে সেখান থেকেও রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা হতে পারে। আবার শরীরের কোথাও গভীর আঘাত পেলে কিংবা মস্তিষ্কে আঘাত পেলে সেখান থেকেও শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা হয়। মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত না পৌঁছলে, রক্ত ,জমাট বাঁধলে সেখান থেকে মাথা ঘোরা, দেখতে না পাওয়া, কথা বলতে অসুবিধে, স্মৃতিভ্রম এমন নানা সমস্যা হতে পারে। এমনকী খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও থেকে যায় গুরুতর স্নায়বিক জটিলতারও। তাই অস্বাভাবিক কোনও কিছু অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।