৫ বছরের কম বয়সি বাচ্চাদের কফ সিরাপ খাওয়া যায় না, যে উপায়ে খুদের সর্দি-কাশি দূর করবেন

Child Health in Winters: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের সর্দি, কাশির চিকিৎসার জন্য কফ সিরাপ সুপারিশ করে না। একইভাবে, কেন্দ্র ৪ বছরের কম বয়সি শিশুদের কফ সিরাপ নিষিদ্ধ করেছে। এই অবস্থায় আপনাকে বেছে নিতে হবে বিকল্প উপায়।

৫ বছরের কম বয়সি বাচ্চাদের কফ সিরাপ খাওয়া যায় না, যে উপায়ে খুদের সর্দি-কাশি দূর করবেন
Follow Us:
| Updated on: Dec 24, 2023 | 11:46 AM

কী শীতের শুরু, আর কী শেষ। বাড়ির সবচেয়ে খুদে সদস্যটি শীত এলেই ভুগতে থাকে সর্দি-কাশিতে। যেখানে ঋতু পরিবর্তনের মুখে প্রাপ্তবয়স্করাই জ্বরে ভোগেন, সেখানে বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেশি। তাছাড়া বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কম। নাক দিয়ে সর্দি বেরোলেও কাশি কমতে চায় না কিছুতেই। তখন ভরসা একমাত্র কফ সিরাপ। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের সর্দি, কাশির চিকিৎসার জন্য কফ সিরাপ সুপারিশ করে না। একইভাবে, কেন্দ্র ৪ বছরের কম বয়সি শিশুদের কফ সিরাপ নিষিদ্ধ করেছে। এই অবস্থায় আপনাকে বেছে নিতে হবে বিকল্প উপায়।

কফ সিরাপ খাওয়ানোর বদলে বাচ্চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। এর জন্য তাজা শাকসবজি, ফল, গোটাশস্য, মাছ-মাংসের খাওয়ানোর উপর জোর দিতে হবে। শীতকাল এলেই যেহেতু আপনার সন্তান সর্দি-কাশিতে ভোগে, তাই আগে থেকে এর খেয়াল রাখতে হবে। গরম জামাকাপড় পরাতে হবে। বাচ্চা যাতে মুখে হাত না দেয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি হাত ধুয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বাচ্চার মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ যদি ঠান্ডা লেগে যায় এবং কাশিতে ভোগে, তাহলে কী করবেন? রইল সহজ উপায়।

১) খুদেকে রোজ এক চামচ করে মধু খাওয়ান। গলা ব্যথা থেকে বুকে জমা সর্দি দূর করে দেয় মধু। মধুর মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। চাইলে আপনি গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়েও খাওয়াতে পারেন। এতে আপনার সন্তান হাইড্রেট থাকবে এবং শরীরও গরম থাকবে।

২) ৫ বছরের কম বয়সি বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের শরীরে যেন জলের ঘাটতি না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার। যদি বাচ্চার ১ বছর বয়স হয়, তাহলে প্রতিদিন ৮ আউন্স বা ০.২৩ লিটার জল পান করান। দু’বছর বয়সি বাচ্চাদের প্রতিদিন ১৬ আউন্স জল পান করানো উচিত।

৩) ভেপার নিলে বুকে জমা সর্দি বেরিয়ে যায়। কিন্তু বাচ্চাদের ভেপার নেওয়া সম্ভব নয়। বিশেষত, ২-৩ বছর বয়সি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে গরম জলে স্নান করান। ঘরে রুম হিটার রাখতে পারেন। এতে শরীর গরম থাকবে এবং ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কমে যাবে।

৪) বুকে রসুন তেল মালিশ করুন। সর্ষের তেলে দু’কোয়া রসুন এবং ১/২ চা চামচেরও কম কালো জিরে গরম করে নিন। এই তেল বাচ্চার বুকে ও পিঠে ভাল করে মালিশ করুন। গলাতেও মালিশ করতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কাজটা সারুন। এতে কাশি কমবে এবং সর্দি দূর হয়ে যাবে।