Health Tips: অতিরিক্ত বেশি কাজ করে বসকে খুশি করতে চাইছেন? জেনে নিন নিজের কী ক্ষতই করছেন
আপনি মনে করতেই পারেন যে বেশি সময় ধরে কাজ করছেন যেটা আদপে আপনার কর্মজীবনকে ভাল করছে। কিন্তু সাপ্তাহিক ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে আপনার শরীরে নানান রকমের দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বাসা বাঁধতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকরির এমনই অভাব যে আপনি যদি কোনো কাজের মধ্যে থাকেন, আপনি তা ধরে রাখার জন্য সব রকম চেষ্টা করবেন। যদি আপনার বস আপনাকে সাপ্তাহিক ৫০ ঘণ্টা কাজ করতে বলেন, আপনি হয়তো তা বাড়িয়ে ৬০ ঘণ্টা কাজ করছেন। আপনি মনে করতেই পারেন যে বেশি সময় ধরে কাজ করছেন যেটা আদপে আপনার কর্মজীবনকে ভাল করছে। কিন্তু সাপ্তাহিক ৪০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে আপনার শরীরে নানান রকমের দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বাসা বাঁধতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে সবচেয়ে বেশি প্রোডাক্টিভিটি আসার ‘সুইট স্পট’ হল সাপ্তাহিক ৪০ ঘণ্টা।
১) উৎপাদনশীলতা হ্রাস:
দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে ফল সব সময় বিপরীত হয়। ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯৯০-এর দশকে ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করতে পেরেছিল যে সাপ্তাহিক ৪০ ঘণ্টার ওপর যদি আরও ২০ ঘণ্টা কেউ কাজ করে তবে তার সুফল শুধুমাত্র প্রথম ৩-৪ সপ্তাহেই দেখতে পাওয়া যায়। আস্তে আস্তে কাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পরে। এর ফলে উৎপাদনশীলতা কমে যায়।
২) ক্লান্তি বৃদ্ধি:
যখন আপনি অনেকক্ষণ ধরে বেশি সময় কাজ করেন তখন ক্লান্তি আসে। এই ক্লান্তিজনিত যে সমস্যাগুলি হবে সেগুলি হল ঘনঘন ঘুম পাওয়া, দুর্বলতা, বিরক্তি এবং মানসিক অসুস্থতা। এগুলি উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে বড় বাধা। আপনি যদি কাজের মাঝে বিশ্রাম না নেন তবে ক্লান্তি বৃদ্ধি পাবে।
৩) বাড়তি নিরাপত্তা ঝুঁকি:
যখন ক্লান্তি বেড়ে যায় এবং আপনি বেশিক্ষণ ধরে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে যান, তখন আপনার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকে। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। এই নিরাপত্তা বিপত্তি কমাতে সঠিক সময়ের অন্তরে বিশ্রাম নেওয়া শুরু করুন।
৪) অবহেলিত সামাজিক জীবন:
আপনি যদি সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করলে আপনার পক্ষে সুস্থ সামাজিক জীবন বজায় রাখা কঠিন হবে। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর মতো সময়ই থাকবে না আপনার কাছে। আস্তে আস্তে আপনি এই ধরনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে মারাত্মক মানসিক অসুস্ততার সম্ভাবনা রয়েছে। মানসিক অসুস্থতা খুব জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৫) অধিক চাপ:
রুটিন করুন। সেটা মেনে চলুন। রুটিন ছাড়া বেশিক্ষণ ধরে কাজ করতে থাকলে কাজের চাপ বেশি অনুভূত হবে। তার প্রভাব আপনার প্রিয়জনদের ওপর পড়বে। তারপর আবার সেখান থেকে চাপ আসার সম্ভাবনা আসবে। এরকম অত্যধিক চাপের মাঝে নিজেকে অসুস্থবোধ হওয়া শুরু হবে।
নিজেকে সুস্থ রাখার কাজ আপনাকেই করতে হবে। খেয়াল রাখুন, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য যেন কখনই কোনোভাবেই এফেক্টেড না হয়। সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকার পেছনে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যই দায়ী। তাই, কাজকে অগ্রাধিকার দিলেও তা যেন কখনই মানসিক স্বাস্থ্যকে ছাপিয়ে না যায়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে ৫৬ কিমি দৌড়লেন মিলিন্দ