World Food Safety Day 2021: বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের গুরুত্ব ও সতর্কতা নিয়ে কিছু অজানা তথ্য
করোনা অতিমারিতে খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যদিও ভাইরাসটি খাদ্যের মাধ্যমে কতটা সক্রিয় হতে পারে, তার প্রমাণ নেই। তবে সাবধানতার মার নেই।
খাদ্য সম্পর্কিত ঝুঁকির প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ ও পরিচালনা, খাদ্য সুরক্ষা, মানবস্বাস্থ্য এবং টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহারের অবদান রাখার লক্ষ্যে এই প্রতিবছর ৭ জুন বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। নিরাপদে খাবার খাওয়া জরুরি, কারণ খাদ্য সম্পর্কিত রোগগুলি সাধারণত সংক্রামক বা বিষাক্ত প্রকৃতির এবং আপাতদৃষ্টিতে তা অদৃশ্যও বটে। এটি দূষিত খাবার বা জলের মাধ্যমে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী বা রাসায়নিক পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে।
উত্পাদন থেকে শুরু করে ফসল, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সঞ্চয়স্থান, বিতরণ, প্রস্তুতি এবং গ্রহনের সমস্ত উপায় হিসেবে খাদ্য প্রতিটি পর্যায়েই নিরাপদ রয়েছে কিনা তা খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে । সরকার, প্রযোজক এবং ভোক্তাদের মধ্যে একটি যৌথ দায়িত্ব থাকে। আমাদের খাওয়া নিরাপদ এবং আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক খামার থেকে এই নিয়ম পালনে বাধ্য থাকে। বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের মধ্য দিয়ে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচিতে খাদ্য সুরক্ষা মূলধারার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যজনিত রোগের বোঝা হ্রাস করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গ্লোবাল ফুড স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সহমত হয়ে, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে, যা সাধারণ মানুষ ঘরে বসে অনুশীলন করতে পারেন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করে সুস্থ থাকতে পারেন।
কী কী সতর্কতা মেনে চলবেন-
-খাবার তৈরির আগে ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান-জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
-বাজার থেকে কিনে আনা ফল এবং শাকসব্জি ধুয়ে পরিষ্কার জায়গায় শুকিয়ে নিন।
-রান্নার পরে রান্না করা পাত্র শুধু সাবান জলেই নয়, বরং তা ধোয়ার সময় গরম জল ব্যবহার করুন।
-কার্টন সমেত ডিম কিনলে সেখান থেকে ডিমগুলি সরিয়ে আলাদা জায়গা রাখবেন।
-মাছ, মাংস অথবা অন্য কোন খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে তা থেকে খাবার বের করে আগে সাধারণ তাপমাত্রায় আসতে দিন। তারপর তা রান্না করবেন।
-৩২ ডিগ্রির উপর তাপমাত্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খাবার রান্না করুন।