Diabetes Symptoms: ৬ অঙ্গে এইসব লক্ষণ দেখা দিলেই বুঝতে হবে সুগার বাড়ছে!
How to identify Diabetes: রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়লে রেটিনার রক্তনালীর উপর প্রভাব পড়ে। যে কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, ছানি পড়ে যাওয়া, গ্লুকোমা এসব হতে পারে
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যার নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। ওষুধ, ডায়েট আর শরীরচর্চার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। আর নিয়ম না মানলে রক্তশর্করা বাড়বেই। ডায়াবেটিসের সঠিক কোনও চিকিৎসা নেই। আর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লেই অতিরিক্ত তেষ্টা, ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া, ক্লান্তি, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া এসব সমস্যা হতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে শরীরের বাকি অংশে তখন ঠিকমতো রক্ত পৌঁচ্ছয় না। ফলে তখন অনেক রকম সমস্যা দেখা যায় সেই সঙ্গে থাকে মৃত্যুর ঝুঁকিও। এছাড়াও ডায়াবেটিস প্রভাব ফেলে অগ্ন্যাশয়ের উপর। অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হয় ইনসুলিন হরমোন। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো তৈরি হতে পারে না। আর তখনই রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়তে থাকে।
মায়ো ক্লিনিকের মতে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়লে রেটিনার রক্তনালীর উপর প্রভাব পড়ে। যে কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, ছানি পড়ে যাওয়া, গ্লুকোমা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হতে পারে। এমন উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পায়ের পাতা সব সময় চুলকোলে কিংবা যদি শিরায় কোনও শিরশিরানি থাকে তাহলে তাও কিন্তু সুগারের লক্ষণ। এছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে পায়ে ঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না। সেই সঙ্গে পায়ে কোনও আঘাত লাগলে তা শুকোতেও অনেকটা সময় লেগে যায়। ফলে পায়ের আঘাত নিরাময় করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। সুগার থাকলে যে কোনও ক্ষত, ঘা শুকোতেই বেশি সময় লাগে।
রক্ত শর্করা স্নায়ুর উপরেও চাপ ফেলে। পা অসাড় হয়ে যাওয়া, পায়ে কোনও রকম ব্যথার অনুভূতি না থাকা, কোনও তাপমাত্রার অনুভূতি না থাকা, প্রায়শই ক্র্যাম্প ধরলে, পা ঝিঁ ঝিঁ করলেও সাবধান। তা রক্ত শর্করা বৃদ্ধিরই লক্ষণ।
সেই সঙ্গে রক্তশর্করা বাড়লে চাপ পড়ে কিডনির উপরেও। কিডনির যে ক্ষুদ্র রক্তনালী রয়েছে তার কার্যকারিতার উপরও প্রভাব ফেলে সুগার। যা ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি নামে পরিচিত। কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাবের মধ্যে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়বেই। সঙ্গে বার বার প্রস্রাব পাওয়া, পা, গোড়ালি, হাত ফুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এসবই হল মুখ্য।
রক্তশর্করা বাড়লে রক্তনালীর উপরেও চাপ পড়ে। যার ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ-সহ একাধিক হার্টের জটিলতা বাড়ে। মাড়িতে ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়া, মাড়িতে সংক্রমণ, ব্যথা এসবও কিন্তু সুগার বৃদ্ধির লক্ষণ। রক্তশর্করার পরিমাণ বাড়লেই মাড়ির রোগও বাড়ে। তাই এই সব লক্ষণ দেখলে আগেই চিকিৎসকের কাছে যান। পরামর্শ নিন।