দ্বিতীয় ঢেউয়ে বলি ১৫৪, এদের মধ্যে ১২৯ জনই নেননি করোনা টিকা, চাঞ্চল্যকর তথ্য ত্রিপুরার অডিট রিপোর্টে
দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১২৯ জনই করোনা টিকা নেননি। ১৬ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ় নিয়েছিলবেন এবং মাত্র ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে দুটি ডোজ় নেওয়ার পরেও।
আগরতলা: প্রথম ঢেউয়ের মতোই সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছোঁয়াচও এড়াতে পারেনি ত্রিপুরা ( Tripura)। চলতি বছরেই রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ, মৃত্যু হয়েছে ১৫৪ জনের। এদের মধ্যে ১২৯ জনই করোনা টিকা নেননি বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অডিট রিপোর্টে (Audit Report)।
রাজ্যে সংক্রমণের দুটি ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই ত্রিপুরার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা একটি অডিট রিপোর্ট তৈরি করেন। তাতেই দেখা যায়, করোনা টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ায় সম্ভাবনাও যেমন কমেছে, তেমনই মৃতের হারও অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। অডিটের রিপোর্ট অনুযায়ী, সংক্রমণের দুটি ঢেউ ঢেউ মিলিয়ে রাজ্যে মোট ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার মানুষ।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১২৯ জনই করোনা টিকা নেননি। ১৬ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ় নিয়েছিলবেন এবং মাত্র ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে দুটি ডোজ় নেওয়ার পরেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদের মধ্যে অধিকাংশই সঠিক সময়ে করোনা পরীক্ষা করেননি এবং ৬৩ জনের কোমর্ডিবিটিও ছিল। সুতরাং দেরীতে চিকিৎসা, দেহের অক্সিজেন লেভেল নিয়মিত পরীক্ষা না করা ও অন্যান্য রোগের কারণেও করোনা রোগীর মৃত্যুর দিকটি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এই বিষয়ে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগীয় প্রধান ডঃ তপন মজুমদার বলেন, “অধিকাংশ রোগীই শারীরিক অবস্থা জটিল হলে, তবেই হাসপাতালের দারস্থ হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের বাঁচানো খুব শক্ত, বিশেষত যখন তাঁদের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৬০ শতাংশের নীচে থাকে। অধিকাংশ রোগীই আবার করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেনা না, ফলে সঠিক সময়ে চিকিৎসাও শুরু করা যাচ্ছে না।”
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা হাইকোর্টের তরফে রাজ্যকে সমস্ত কেন্দ্রে সঠিকভাবে ভ্যাকসিন বন্টনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার ঢেউয়ে ভাসছে দেশ, বিকেলে জাতির উদ্দেশে কী বলবেন মোদী?