Andhra Pradesh: নীচে উত্তাল নদী, সেতু থেকে ফেলে দিল মায়ের প্রেমিক! কীভাবে বাঁচল ১৩ বছরের নাবালিকা?

Andhra Pradesh girl: পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার নাম কীরথানা। তাঁর মা, ৩৬ বছরের মহিলা পুপ্পালা সুহাসিনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল উলাভা সুরেশ নামে এক ব্যক্তির। সুহাসিনী এবং তাঁর দুই মেয়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকত সে।

Andhra Pradesh: নীচে উত্তাল নদী, সেতু থেকে ফেলে দিল মায়ের প্রেমিক! কীভাবে বাঁচল ১৩ বছরের নাবালিকা?
এভাবেই সেতু আঁকড়ে ঝুলেছিল মেয়েটি, পুলিশ এসে উদ্ধার করেImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2023 | 4:11 PM

হায়দরাবাদ: একেই বলে রাখে হরি, তো মারে কে! মা এবং এক বছর বয়সী বোন-সহ, এক ১৩ বছর বয়সী নাবালিকাকে এক সেতু থেকে ঠেলে নীচে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল তার মায়ের প্রেমিক। মা এবং একরত্তি বোন নীচে পড়ে গেলেও, উপস্থিত বুদ্ধির জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ১৩ বছরের মেয়েটি। দীর্ঘ সময় সে সেতু-সংলগ্ন এক প্লাস্টিকের পাইপে ঝুলে ছিল। আর ওই অবস্থাতেই পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে খবর দিয়েছিল পুলিশে। ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার মা এবং ছোট বোনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের পাশাপাশি খোঁজ চলছে মায়ের প্রেমিকেরও। সে আপাতত পলাতক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৬ অগস্ট) ভোরে, অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার নাম কীরথানা। তাঁর মা, ৩৬ বছরের মহিলা পুপ্পালা সুহাসিনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল উলাভা সুরেশ নামে এক ব্যক্তির। সুহাসিনী এবং তাঁর দুই মেয়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকত সে। রবিবার ভোররাতে, রাজামহেন্দ্রভরমে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার অছিলায়, একটি গাড়িতে করে মা ও দুই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছিল সে। পথে রাভুলাপালেম গৌতমী সেতু পড়ে। সেখানে সে গাড়ি থামিয়েছিল। সেলফি তুলবে বলে, সকলকে সে নীচে নামতে বলেছিল। তারপর, সেলফি তোলার অজুহাতে তিনজনকে সে সেতু থেকে ঠেলে নীচে ফেলে দিয়েছিল। ভেবেছিল বৃষ্টিতে ফুঁসতে থাকা গোদাবরী নদীতে ভেসে যাবে তারা। সৌভাগ্যবশতঃ, সেতুটির পাশে একটি প্লাস্টিকের তার ছিল। আর সেই তারের পাশ দিয়ে নীচে পড়ার সময়, হাত বাড়িয়ে তারটিকে ধরে ফেলতে পেরেছিল কীরথানা। এরপর, ১০০ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দিয়েছিল।

রাভুলাপালেম থানার পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৩টে বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ, তাদের কাছে সাহায্য চেয়ে কীরথানার ফোন এসেছিল। ৪টের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল পুলিশ। তারা দেখেছিল, কীরথানা বিপজ্জনক অবস্থায় সেতুর পাইপ লাইনে আঁকড়ে ঝুলছে। হাইওয়ে টহলদার বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে রাভুলাপালেম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, কীরথানার মা সুহাসিনী এবং তাঁর এক বছরের বোনের সন্ধান করতে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। তারা গোদাবরীর তীরে বিভিন্ন জায়গায় তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন। আরেকটি দল তৈরি করা হয়েছে, অভিযুক্ত সুরেশকে গ্রেফতার করার জন্য।