রক্ত ঝরল শনিতেও, ৯ দিনে খতম প্রায় ৫০ জন নকশাল
Naxal Encounter: এখনও অবধি ১৬ জন নকশালের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সেনারা। দুই সেনাকর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সকাল সকাল ফের রক্ত ঝরল ছত্তিশগড়ে। নকশাল এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ছত্তিশগড়ের সুকুমা জেলা। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন নকশালের। গোগুন্ডা পাহাড়ের উপমপল্লিতে নকশাল এবং ডিআরজি ও সিআরপিএফ কর্মীদের মধ্যে চলে অবিরাম গোলাগুলি। অনুমান ওই স্থানে ৩০-৪০ জন সশস্ত্র পোশাকধারী নকশাল থাকতে পারে। এখনও অবধি ১৬ জন নকশালের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সেনারা। দুই সেনাকর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৮শে মার্চ, সুকমা জেলার কেরালাপাল থানা এলাকায় নকশালদের উপস্থিতির তথ্যের খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। ডিআরজি এবং সিআরপিএফের একটি যৌথ দল নকশাল বিরোধী তল্লাশি অভিযানের রওনা হয়। অভিযান চলাকালীন, শনিবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনী এবং নকশালদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এনকাউন্টার সাইট এবং আশেপাশের এলাকাতেও নিরাপত্তা বাহিনীরা তীব্র তল্লাশি চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ে নকশালদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। কদিন আগে ২০ মার্চ, যৌথ পুলিশ দল নকশালদের মুখোমুখি হয়েছিল। গঙ্গালুর থানা সীমানার কাছে বিজাপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিকেশ হয় ৩০ জন নকশাল। বিজাপুর পুলিশের মতে, এলাকায় প্রায় ৪৫ জন নকশালবাদী উপস্থিত ছিল, যাদের নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে রেখেছিল। তল্লাশি অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই সংঘর্ষে বিজাপুর ডিআরজি-র একজন সৈনিকও নিহত হন।
২০ মার্চ নকশালদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এটিকে নকশালমুক্ত ভারত অভিযান বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি X-এ লেখেন, “আজ আমাদের সৈন্যরা নকশালমুক্ত ভারত অভিযানের দিকে আরও একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে। ছত্তিশগড়ের বিজাপুর এবং কাঙ্কেরে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি পৃথক অভিযানে ২২ জন নকশাল নিহত হয়েছে। মোদী সরকার নকশালদের বিরুদ্ধে নির্মম পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে চলেছে এবং আত্মসমর্পণ থেকে শুরু করে অন্তর্ভুক্তি পর্যন্ত সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও যারা আত্মসমর্পণ করছে না তাঁদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করছে। আগামী বছরের ৩১ মার্চের আগে দেশ নকশালমুক্ত হতে চলেছে।”





