Child Died: বালতি ভেঙে কুয়োয় শিশু, ৮ ঘণ্টার লড়াই থামল মৃত্যুতে…
Borewell: দ্বারকার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (SDM) জানান, দুপুর ৩টে অবধি শিশুর কান্না শোনা গিয়েছে। এরপর আর শব্দ আসেনি। সন্ধ্যায় জামনগর থেকে আসে সেনার দল। ভাদোদরা সংলগ্ন এনডিআরএফ স্টেশন থেকে রাত ৮টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একটি দল। ভাদোদরা থেকে জামনগর আকাশপথে আসার পর তারা সড়কপথে রণে এসে পৌঁছয়।
গুজরাট: সেনা থেকে এনডিআরএফ, চেষ্টার কোনও খামতি ছিল না। কিন্তু দিনভর গভীর কুয়োয় পড়ে থাকা আড়াই বছরের শিশুকে বাঁচানোও যে ততটা সহজ ছিল না। যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ঘটলও তেমনটাই। সোমবার রাতে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুজরাটের দ্বারকার ঘটনা। নতুন বছরের প্রথম দিনই বাড়ির সামনে থাকা কুয়োয় পড়ে যায় ওই শিশুকন্যা। এরপর প্রায় ৮ ঘণ্টা তাকে উদ্ধারের জন্য টানাপোড়েন চলেছে।
পুলিশ প্রশাসন থেকে দমকল দিয়ে প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে সেনা ও এনডিআরএফ পৌঁছয় দ্বারকার কল্যাণপুর তহশিলের রণে। রাত ১০টা নাগাদ তাকে উদ্ধারও করা হয়। তাকে যখন গভীর কুয়ো থেকে বের করে নিয়ে আসা হল শরীর ছেড়ে দিয়েছে। নেতিয়ে পড়ে রয়েছে। শ্বাস পড়ছে খুবই ধীর লয়ে। খামভালিয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, লড়াই থেমেছে একরত্তির।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট নন্দিনী দেশাই জানান, দেহের ময়নাতদন্ত হবে। দেবভূমি দ্বারকার জেলাশাসক অশোক শর্মা বলেন, সোমবার শিশুটি কুয়োয় পড়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কুয়োর ভিতরে অক্সিজেন পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়।
দ্বারকার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (SDM) জানান, দুপুর ৩টে অবধি শিশুর কান্না শোনা গিয়েছে। এরপর আর শব্দ আসেনি। সন্ধ্যায় জামনগর থেকে আসে সেনার দল। ভাদোদরা সংলগ্ন এনডিআরএফ স্টেশন থেকে রাত ৮টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একটি দল। ভাদোদরা থেকে জামনগর আকাশপথে আসার পর তারা সড়কপথে রণে এসে পৌঁছয়।
কিন্তু এই ঘটনা ঘটল কীভাবে? জানা গিয়েছে, খুবই গরিব পরিবারের শিশুটি। কয়েক বছর আগে জলের সমস্যা মেটাতে কুয়োটি খনন করা হয়। তবে হ্যান্ড পাম্প বা মোটর পাম্প বসানোর আর সামর্থ হয়নি। বালতি করে হাতে করে ওই কুয়ো থেকে জল তুলত পরিবার। একটি বালতি সবসময় সেখানে রাখাই থাকত।
সোমবার শিশুটি খেলতে খেলতে ওই প্লাস্টিকের বালতিতে উঠে পড়ে। এরপরই বালতির একটা ধার ভেঙে সোজা কুয়োয়। দুপুরবেলার ঘটনা। তখন সকলেই ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মা ছিলেন কুয়োর কাছেই। তবে ছোট্ট মেয়েকে কুয়োয় পড়ে যেতে দেখে কিছু করার আগেই ঘটে যায় বিপদ।