Parliament deadlock: সংসদের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী সরকার, বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় দুই মন্ত্রী
Parliament deadlock: বস্তুত, এদিন সংসদের অচলাবস্থা কাটাতে এবং সংসদ চালানোর বিষয়ে ঐক্যমত গঠনের জন্য সব দলের রাজ্যসবার নেতাদের তাঁর ব্যক্তিগত কক্ষে এক বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। কিন্তু, কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি সেই বৈঠকে অংশ নেননি। এরপরই আসরে নামেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
নয়া দিল্লি: ২০ জুলাই শুরু হয়েছিল সংসদের বাদল অধিবেশন। কিন্তু তারপর থেকে, মণিপুর হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি এবং পাল্টা দাবিতে, বাদল অধিবেশনের অধিকাংশ সময়ই নষ্ট হয়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৩ অগস্ট), প্রথমবারের জন্য এই অচলাবস্থা কাটাতে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসল সরকার। সূত্রের কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন সংসদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল। কীভাবে লোকসভা ও রাজ্যসভার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বস্তুত, এদিন সংসদের অচলাবস্থা কাটাতে এবং সংসদ চালানোর বিষয়ে ঐক্যমত গঠনের জন্য সব দলের রাজ্যসবার নেতাদের তাঁর ব্যক্তিগত কক্ষে এক বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। কিন্তু, কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি সেই বৈঠকে অংশ নেননি। এরপরই আসরে নামেন প্রহ্লাদ জোশী এবং পীযূষ গোয়েল। মল্লিকার্জুন খাড়্গে-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যসভায় মণিপুরের হিংসার বিষয়ে একটি নিরবিচ্ছিন্ন আলোচনা হোক। তাহলেই এই অচলাবস্থা কেটে যাবে। তাদের এই দাবি সরকার মেনে নেবে বলেই আশা করছে বিরোধীরা।
আসলে শুরু থেকেই সরকার এবং বিরোধীরা – দুই পক্ষই মণিপুর নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়েছে। তবে, তারপরও দুই পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকায়, বারে বারে ব্যাহত হয়েছে সংসদীয় কার্যক্রম। বিরোধীরা চায় সংসদের দুই কক্ষেই এই বিষয়ে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে সরকার বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নয়, এই বিষয়ে সরকারের পক্ষে আলোচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীরা চেয়েছে আলোচনা হোক সংসদীয় বিধি ২৬৭ অনুসারে। এই বিধির আওতায় কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে, সংসদের বাকি সকল কার্যক্রম মূলতবি রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেই বিষয়ে আলোচনা করা যায়।
অন্যদিকে, সরকার চাইছে মণিপুর নিয়ে আলোচনা হোক সংসদীয় বিধি ১৭৬ অনুসারে। এই বিধির আওতায় নথিভুক্ত বিষয়ে সংসদের অন্যান্য কার্যাবলীর মধ্যে সময় হলে, তবেই আলোচনা হয় এবং সেই আলোচনা হয় স্বল্পমেয়াদি। এই বিধিতে কোনও বিষয়ে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে। সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও, সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিরোধীরা মণিপুরের হিংসার বিষয়ে সংসদীয় বিধি ১৭৬ মেনেই আলোচনা করার বিষয়ে রাজি হয়েছে।