Ashwini Vaishnaw: সমুদ্রের নিচ দিয়ে যাবে বুলেট ট্রেন, কতটা পথ সংসদে জানালেন রেলমন্ত্রী
Ashwini Vaishnaw: বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে দেশে প্রথম সমুদ্রের নিচ দিয়ে রেল টানেলের কথা বলেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, "এই প্রকল্পের জন্য সমুদ্রতলের ৩০ মিটার নীচে একটা টানেল হচ্ছে। ওই টানেলটি ২১ কিলোমিটারের। ভারতের প্রথম সমুদ্রতলের নিচ দিয়ে টানেল হবে। খুবই দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।"
নয়াদিল্লি: ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্প। মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত ছুটবে বুলেট ট্রেন। ২০২০ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। কবে শেষ হবে প্রকল্প? কতদূর এগিয়েছে প্রকল্পের কাজ? কবে দেশে প্রথম ছুটবে বুলেট ট্রেন? বুধবার সংসদে এই নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সমুদ্রের নিচ দিয়ে ২১ কিমি টানেলের কথা তুললেন। প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর হওয়ার কথাও বললেন।
বুধবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে জানতে চান গুজরাটের ভালসাদের বিজেপি সাংসদ ধবল লক্ষ্মণভাই প্যাটেল। তিনি প্রশ্ন করেন, বুলেট ট্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি কী?
তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বুলেট ট্রেনের জটিল প্রযুক্তির কথা তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সাধারণ ট্রেন যখন ৫০-৬০ কিমিতে চলে, কিংবা ১০০ কিমি গতিবেগে চলে, তখন তার কম্পন কম হয়। কিন্তু, যখন কোনও ট্রেন ২৫০ কিমির বেশি গতিবেগে চলে, তখন তার ডিজাইনে নানা জটিলতা তৈরি হয়। রেলট্র্যাকের সঙ্গে ট্রেনের কম্পন অত্যধিক হয়। এই জন্য বুলেট ট্রেনের ডিজাইনের বিষয়ে বাড়তি নজর দিতে হয়েছে। জাপানের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বুলেট ট্রেনের ডিজাইন করা হয়েছে।”
মহারাষ্ট্রে প্রাথমিক কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে মোট রেললাইন ৫০৮ কিলোমিটারের। তার মধ্যে ৩২০ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ চলছে। মহারাষ্ট্রে প্রথম দিকে কাজ শুরুতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু, একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর জমি অধিগ্রহণ-সহ সমস্ত অনুমোদন দেন। সেখানে কাজ চলছে।”
বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে দেশে প্রথম সমুদ্রের নিচ দিয়ে রেল টানেলের কথা বলেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য সমুদ্রতলের ৩০ মিটার নীচে একটা টানেল হচ্ছে। ওই টানেলটি ২১ কিলোমিটারের। ভারতের প্রথম সমুদ্রতলের নিচ দিয়ে টানেল হবে। খুবই দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।” প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের বান্দ্র-কুরলা কমপ্লেক্স থেকে শিলফাটা পর্যন্ত এই টানেল হবে। ২১ কিমি ওই টানেলের মধ্যে ৭ কিমি আরব সাগরের থানে খাঁড়ির নিচ দিয়ে যাবে। এদিন রেলমন্ত্রী আরও জানান, এখন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা এই প্রকল্পে নানা ডিজাইন নিজেরা করছেন। দ্রুত গতিতে কাজ এগোচ্ছে।
৫০৮ কিমি দূরত্বের এই রুটে ১২টি স্টেশনে থামবে বুলেট ট্রেন। এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।