মৃত্যু বেড়ে ৫, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩৩৫, ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা

চারটি মৃত্যুই হয়েছে কেরলে। এই রাজ্যে কোভিডের সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১ (JN.1) শনাক্ত হয়েছে। অপর মৃত্যুটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। তবে, কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার এখনও ৯৮.৮১ শতাংশে রয়েছে।

মৃত্যু বেড়ে ৫, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩৩৫, ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা
ফের করোনার চোখ রাঙানিImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2023 | 9:54 AM

নয়া দিল্লি: শীত পড়তেই বাড়ছে করোনার দাপট। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৩৩৫ জন কোভিড -১৯-এ সংক্রামিত হয়েছে। ফলে, চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছল ১,৭০১-এ। একই সময়ে কোভিডে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে চারটি মৃত্যুই হয়েছে কেরলে। এই রাজ্যে কোভিডের সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১ (JN.1) শনাক্ত হয়েছে। অপর মৃত্যুটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। তবে, কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার এখনও ৯৮.৮১ শতাংশে রয়েছে। ইনসাকগ (INSACOG) পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে বলে জানিয়েছে সরকার।

গত শনিবার, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর (ICMR) জানিয়েছিল, কেরলের এক ৭৯ বছর বয়সী মহিলা কোভিড রোগীর দেহে কোভিড-১৯-এর সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১ পাওয়া গিয়েছে। ওই মহিলা তিরুবনন্তপুরম জেলার কারাকুলামের বাসিন্দা। ৮ ডিসেম্বর জানা গিয়েছিল তিনি করোনা পজিটিভ। তার আগে, তাঁর শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো লক্ষণ ছিল। তবে, বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রবিবার, কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, রাজ্যে কোভিড-১৯-এর সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত হলেও। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরেই ভারতীয় যাত্রীদের মধ্যে এই সাব-ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিল। তবে, এই নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে, শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গাতেই পের ফিরঠছে মাস্ক পরার দিন। সিঙ্গাপুরে কোভিড -১৯ সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই প্রেক্ষিতে জনবহুল জায়গাগুলিতে মুখোশ পরার নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। ৩ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৫৬,০৪৩ হয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জেএম.১ সাব-ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। সিহ্গাপুর সরকার জানিয়েছে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা -সহ কোভিডকালীন সমস্ত নিয়ম ফের মানতে হবে। তারা বলেছে, ভ্রমণের সময় বিমানবন্দরে মাস্ক পরতেই হবে। ভ্রমণ বীমাও কেনা উচিত। কোভিড রোগীদের জন্য হাসপাতালের বেডও ফাঁকা রাখা হচ্ছে। এই অবস্থায় শুধুমাত্র গুরুতর বা প্রাণঘাতী জরুরী অবস্থা হলে, তবেই হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি হওয়া উচিত।